হাইস্কুলে দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিন। উঁচু টুলের উপর তাঁকে দাঁড় করিয়ে উঁচু ক্লাসের ছেলেরা বলছে— গান গাও, গান! গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছে না, তবু জোর করা হচ্ছে, গাইতেই হবে! শেষে কিছু একটা গেয়ে পালিয়ে বাঁচার সময় নিদান ঘোষণা হল— ওটা গান নয়, আওয়াজ।
নিজের জীবনের এই ছোট্ট ‘মিউজিকাল কেরিয়ার’-এর গল্প শুনিয়ে আজ রাহুল গাঁধী বলেন, ‘‘সেখানেই আমার প্রকাশ্যে গান গাওয়ার ইতি।’’ আজ রাজীব গাঁধীর জন্মবার্ষিকীতে সঙ্গীতশিল্পী শুভা মুদগলকে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত সদ্ভাবনা পুরস্কার দেওয়ার অনুষ্ঠানে রাহুল বলেন, ‘‘আমি প্রাণের দায়েও গাইতে পারি না।’’ প্রতি বছরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিতে অবদানের জন্য কংগ্রেসের রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনের তরফে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সনিয়া গাঁধী অন্যান্য বার এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেও এ বছর অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি। রাহুল বলেন, ‘‘মা আসার জন্য খুবই উদ্গ্রীব ছিলেন। কিন্তু আমি আর প্রিয়ঙ্কা ওঁকে আসতে দিইনি। তবে এখন অনেক ভাল রয়েছেন।’’
এই অনুষ্ঠানে নাম না-করে বিজেপি-সঙ্ঘ পরিবারকেও নিশানা করেছেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এ দেশে এমন কিছু শক্তি রয়েছে যারা বিভক্ত ভারত চায়। তারা অনৈক্য ছড়াতে চায়। আমাদের মধ্যে সব সুতো ছিঁড়ে ফেলতে চায়। এরা অনৈক্য ছড়াচ্ছে, মানুষকে অপমান করছে, বিচ্ছিন্ন করছে, খুনও করছে।’’ রাহুল বলেন, ‘‘শুভা মুদগল তাঁর সঙ্গীতের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিভাজন ভেঙে মানুষকে জুড়ছেন। আমার বাবা রাজীব গাঁধীও রাজনীতিতে সেই কাজটাই করেছিলেন।’’