প্রতীকী ছবি।
ভয়াবহ বন্যার জেরে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল একটানা ১৮ দিন। সোমবার বেশি রাতে মালগাড়ি চলাচল দিয়ে দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে অসম ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আবার রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে। তবে যাত্রী-ট্রেন এখনই চালু হচ্ছে না। তিন-চার দিন নির্বিঘ্নে মালগাড়ি চালানো গেলে তবেই সুরক্ষা যাচাই করে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানো হবে বলে জানাচ্ছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ। আপাতত বেশ কিছু দিন ট্রেন চলবে একটি লাইন দিয়েই।
বিহারের বারসইয়ের কাছে সুধানি এবং তেলতা-র মাঝখানে ১৩৩ নম্বর রেলসেতুটি ভেসে গিয়েছিল। তাতেই দেশের অন্য প্রান্তের সঙ্গে উত্তরবঙ্গ ও অসমের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেতুটি নতুন করে গড়ে তোলার পরে একটি লাইন চালু হওয়ায় সোমবার বেশি রাত থেকে ফের মালগাড়ি চলাচল শুরু করা গিয়েছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল জানায়, এ বারের বন্যায় অনেক সেতুই ভেঙে গিয়েছিল। সেগুলি চটজলদি মেরামত করা গেলেও সুধানি-তেলতা সেতু সারাতে বেশি সময় লেগেছে। কারণ, ওখানে প্রায় ৩০০ মিটার অংশে রেললাইনের নীচের মাটি বন্যায় ধুয়ে গিয়েছিল। অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়েছিল যে, সেনা ডেকে মেরামতির কাজ করাতে হয়েছে। অন্য জায়গা থেকে বোল্ডার এনে তার দিয়ে বেঁধে জলের উপরে ফেলে জমি উঁচু করে পাতা হয়েছে রেললাইন। আপাতত একটি লাইন ঠিক করা গিয়েছে। ওই লাইন দিয়েই এখন কিছু দিন আপ ও ডাউন ট্রেন চালানো হবে। দ্বিতীয় লাইনের সেতুটিরও মেরামতি চলছে। সেই কাজ শেষ হলে ওই রুটে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রের খবর, ডিব্রুগড়-নয়াদিল্লি রাজধানী, অউধ-অসম এক্সপ্রেস, গুয়াহাটি-অনন্তবিহার এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড়-কলকাতা-কামরূপ, শিলচর-শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনকেই ৩ সেপ্টেম্বর থেকে চালানো হবে। সেই সঙ্গে চালানো হবে কয়েকটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনও। কলকাতা থেকে চালু করা হবে দার্জিলিং মেল-সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন। তার পরে লাইনের ক্ষমতা দেখে আস্তে আস্তে অন্যান্য ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা হবে। তবে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ এবং অসমমুখী ট্রেনগুলি বাতিলই থাকছে।