সংরক্ষণে দালাল রুখতে নজর রেলের

একের পর এক প্রযুক্তি আসছে। কম্পিউটার তো আছেই। ফোনে বোতাম টিপেও আসন সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু দালাল চক্রকে নির্মূল করা যায়নি। প্রযুক্তিকে দুয়ো দিয়ে তারা রয়েছে বহাল তবিয়তেই। বেশ কিছু দিন ধরে হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে ছাড়া দূরপাল্লার কোনও ট্রেনেরই টিকিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। রেলের আসন সংরক্ষণ অফিসে টিকিট অমিল। ইন্টারনেটেও একই অবস্থা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৫ ০৩:২৫
Share:

একের পর এক প্রযুক্তি আসছে। কম্পিউটার তো আছেই। ফোনে বোতাম টিপেও আসন সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু দালাল চক্রকে নির্মূল করা যায়নি। প্রযুক্তিকে দুয়ো দিয়ে তারা রয়েছে বহাল তবিয়তেই।

Advertisement

বেশ কিছু দিন ধরে হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে ছাড়া দূরপাল্লার কোনও ট্রেনেরই টিকিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। রেলের আসন সংরক্ষণ অফিসে টিকিট অমিল। ইন্টারনেটেও একই অবস্থা। অভিযোগের বন্যার মুখে বাধ্য হয়েই পূর্ব রেলের ট্রেনগুলির আসন সংরক্ষণে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

রেল সূত্রের খবর, এখন সব ট্রেনের ক্ষেত্রেই ১২০ দিন আগে সংরক্ষিত টিকিট দেওয়া শুরু হয়। দেখা যাচ্ছিল, শুরুর দিনে প্রথম ১০ মিনিটেই প্রতিটি ট্রেনের সব আসন সংরক্ষিত হয়ে যাচ্ছে! নানা ভাবে নজরদারি চালিয়ে রেলকর্তারা দেখেছেন, বেশির ভাগ টিকিট চলে যাচ্ছে দালালদের হাতে। পরে অন্য যাত্রীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে সেই সব টিকিট। এবং ওই সব যাত্রীও ট্রেনে উঠছেন নাম ভাঁড়িয়ে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে যাত্রীদেরও সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। তাঁদের সহায়তা ছাড়া বেআইনি ভাবে টিকিট বিক্রি বা নাম ভাঁড়িয়ে ট্রেনযাত্রার ব্যাপারটা ধরা মুশকিল।’’

Advertisement

যাত্রীদের অভিযোগ, রেলকর্তারা যা-ই বলুন, দালাল চক্রের সঙ্গে এক শ্রেণির রেলকর্মীও জড়িত। রেল তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা না নিলে অনিয়ম বন্ধ করা অসম্ভব। রেলকর্তারা জানাচ্ছেন, কড়া নজরদারির ব্যবস্থা হয়েছে। সব দিকই খতিয়ে দেখছেন অফিসারেরা। এখন থেকে সন্দেহ হলে আসন সংরক্ষণের স্লিপ বার করে যাত্রীর ফোন নম্বরে আচমকা ফোনও করা হতে পারে। জানতে চাওয়া হবে তাঁর নাম, তিনি কবে, কোথা থেকে টিকিট কেটেছেন, কোথায় যাবেন। সেই সঙ্গে ট্রেনেও যাত্রীদের টিকিট বিশেষ ভাবে পরীক্ষা করা হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন