পরিবেশ রক্ষায় পরিচ্ছন্নতায় বাড়তি নজর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দূষণ কমানোর উপরে জোর দিচ্ছে রেল। এ বার তারা মন দিচ্ছে নিজেদের এলাকাভুক্ত জলাভূমি সংরক্ষণেও। রেলকর্তাদের বক্তব্য, পুরো বিষয়টিই রেলের পরিবেশ রক্ষা কর্মসূচির অঙ্গ। একই সঙ্গে নজর দেওয়া হচ্ছে জলের অপচয় নিয়ন্ত্রণের উপরেও।
প্রায় সব রাজ্যেই রেললাইন বরাবর অনেক জলাভূমি রয়েছে। তথ্য বলছে, কোথাও কোথাও রয়েছে ২০০ বছরের পুরনো জলাভূমিও। ওই সব জলাভূমি রেলেরই সম্পত্তি। সেই সম্পত্তি কী ভাবে রক্ষা করা যায়, তা নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন রেলকর্তারা। রেল সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে শীঘ্রই একটি নির্দেশিকা জারি করে সব জোনকে জলাভূমি সংরক্ষণের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলা হবে।
রেল সূত্রের খবর, দক্ষিণ-মধ্য রেল জোনে ২০০ বছরের পুরনো জলাভূমি আছে বেশ কিছু। সেগুলোর সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য বড় ও পুরনো জলাভূমি রক্ষা করতে তাদের চার পাশে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী তিন বছরে পাঁচ কোটি গাছের চারা লাগানো হবে।
নিজেদের এলাকায় ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণেও এক গুচ্ছ প্রকল্প হাতে নিয়েছে রেল। সারা দেশে প্রতিদিন ট্রেনে চড়েন ২৩ লক্ষ যাত্রী। এই বিপুল সংখ্যক যাত্রী কোনও না-কোনও ভাবে জল ব্যবহার করছেন। এবং তার জোগান দিতে হচ্ছে রেলকেই। তাই ভূগর্ভের জল কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বৃষ্টির জল ধরে তাকে পরিস্রুত করে পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনাও রয়েছে রেলের। এই সব কাজ সুষ্ঠু ভাবে করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ দফতরের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
রেলের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেও অনেকের অনুযোগ, রেলে সংস্কার ও নিরাপত্তার জন্য ফি-বছরই তো বাজেটে বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা হয়। তা সত্ত্বেও মুষ্টিমেয় কয়েকটি ট্রেন ছাড়া অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। সরকার বদলায়। মন্ত্রী আসেন, মন্ত্রী যান। কিন্তু রেললাইন, ট্রেনের কামরা, আসবাব, নিরাপত্তার হাল ফেরে না। কেন? এ দিকে নজর দেওয়ার কথা বলছেন তাঁরা।