দফায় দফায় বৃষ্টিতে জলমগ্ন সারা শিলচর

দিনভর বর্ষণে নাজেহাল দক্ষিণ অসম। দফায় দফায় মুষলধারে বৃষ্টি। অধিকাংশ রাস্তাঘাট জলে ডোবা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৬ ০২:৫৫
Share:

বৃষ্টির পর শিলচরের রাজপথ। মঙ্গলবার হিমাংশু দে-র তোলা ছবি।

দিনভর বর্ষণে নাজেহাল দক্ষিণ অসম। দফায় দফায় মুষলধারে বৃষ্টি। অধিকাংশ রাস্তাঘাট জলে ডোবা।

Advertisement

শিলচর শহরের সুভাষনগর, সোনাই রোড, শিলং পট্টি, চার্চ রোড, অম্বিকাপট্টিতে আজ দুপুরেই জল জমে যায়। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জমা জল ক্রমে বেড়ে চলেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জল ছড়িয়ে পড়ছে অন্যান্য এলাকাতেও। রাধামাধব কলেজ, মহিলা কলেজে জল ঢুকে পড়েছে। মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের অফিসকক্ষেও জল থইথই অবস্থা। জল ঢুকছে কাছাড় কলেজেও।

শহরের মানুষ এই পরিস্থিতির জন্য পুরসভাকে দায়ী করছেন। অনিয়মিত নর্দমা সাফাই ও খালগুলিকে নিয়ে সুচিন্তিত পরিকল্পনা না থাকায় শহরের মানুষকে ভুগতে হচ্ছে, অভিযোগ ভুক্তভোগী জনতার।

Advertisement

শিলচরের পুরপ্রধান নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর জানান, অত্যধিক বৃষ্টির জন্যই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পুরকর্মীরা বৃষ্টির মধ্যেও কাজ করে চলেছেন। নালা-নর্দমায় যেখানে জল আটকে পড়েছে, সে জায়গা সাফ-সুতরো করা হচ্ছে। সুভাষনগরে জল বের করে দেওয়ার জন্য পুরসভা আগেই পাম্প বসিয়ে দিয়েছে। এ দিন জলসম্পদ দফতরকে তা চালু করে দিতে বলা হয়েছে। তাঁর আশা, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে।
নদীর জল মারাত্মক ভাবে না বাড়লে জমা জল সরে পড়তে বেশি সময় লাগবে না।

সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বরাক নদীর জলস্তর এখনও বিপদসীমা থেকে অনেক নীচে রয়েছে। অন্নপূর্ণাঘাটে বিপদসীমা ১৯.৮৩ মিটার। সেখানে সন্ধ্যা ৬ টায় জলসীমা ১৪.৮৪ মিটার। বেলা ২টোয় ছিল ১৪.৩৮ মিটার।

বর্ষণে পাহাড় লাইনে ধস নামায় গত কাল বিকেলেই ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত হয়। এ দিনও তা চালু করা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement