আত্মঘাতী পুলিশ অফিসার। ছবি: সংগৃহীত।
রাজস্থানের দুর্নীতি দমন শাখার এক পুলিশ অফিসারের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হল তাঁরই ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি থেকে। ওই গাড়ির সামনের আসন থেকেই বছর তিরিশের আরও এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ওই পুলিশ অফিসারের নাম আশিস প্রভাকর (৪২)। তিনি রাজস্থান পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পদে কর্মরত ছিলেন। জয়পুরের বাইরে রাস্তার উপর পুলিশের গাড়িতে দু’জনের দেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা ছুটে আসেন। আশিসবাবুকে সনাক্ত করেন তাঁরাই। তবে গাড়ির সামনের আসনে বসে থাকা মহিলার কোনও পরিচয় জানা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। মহিলার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে মহিলাকে গুলি করে হত্যা করার পর আত্মঘাতী হয়েছেন আশিসবাবু।
পুলিশ আরও জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় অফিস থেকে বেরিয়ে যান আশিসবাবু। কয়েক ঘণ্টা পরেই তিনি নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে আশিসবাবুর লেখা একটি চিঠিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে পারিবারিক কোনও গণ্ডগোলের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন আশিসবাবু। ওই দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তিনি বাড়িতে না ফেরায় জয়পুর পুলিশের কাছে এ বিষয়ে জানানো হয় বলে জানিয়েছেন তাঁরই এক সহকর্মী।
আরও খবর: আত্মীয়দের গুলি করে আত্মঘাতী পুলিশকর্মী
গত মাসেই রাজস্থান পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখায় তাঁর পোস্টিং হয়। সহকর্মীরা জানান, তিনি খুব সত্ অফিসার ছিলেন। অফিসার হিসাবেও তাঁর খুব নামডাক ছিল। তাঁরই হাতে গ্রেফতার হয় আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর ভাবধারায় বিশ্বাসী মহম্মদ সিরাজউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। এমন এক জন সত্ অফিসারের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় সহকর্মীরাই অবাক হয়েছেন।