দিনটা ভাল গেল না সলমন খানের।
বুধবার দিনের শুরুতে রাজস্থান সরকার আদালতে জানিয়ে দিল, চিঙ্কারা হত্যা মামলায় সলমন খানকে তারা ফের জেলে ভরতে চায়। সেই সঙ্গে বেলা গড়াতেই কোকা কোলা বলল, নরম পানীয়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের পদ থেকে তারা সলমনকে সরিয়ে দিচ্ছে।
চিঙ্কারা মামলায় মাত্র তিন মাস আগেই সলমনকে নির্দোষ বলেছিল রাজস্থান হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আজ সুপ্রিম কোর্টে রাজস্থান সরকার বলেছে, অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হোক সলমন খানকে।
১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিংয়ে গিয়ে জোধপুরের কাছে তিনটি চিঙ্কারা হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে সলমনের বিরুদ্ধে। দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ মারার অভিযোগও ছিল। সে মামলা এখনও চলছে। ২০০৬ সালে চিঙ্কারা মামলায় নিম্ন আদালতে এক ও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় সলমনের। সে যাত্রা এক সপ্তাহ জোধপুরের জেলে কাটানোর পরে জামিন পান সলমন। গত জুলাই মাসে হাইকোর্ট তাঁকে রেহাই দেয়।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে, যে প্রাণীগুলিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলি যে সলমনের গুলিতেই মারা গিয়েছে এমন প্রমাণ মেলেনি। আজ রাজস্থান সরকার সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বলেছে, যত দিন সাজা বাকি রয়েছে, তা এ বার খাটুন সলমন।
বলিউডের তারকাকে নিয়ে নতুন করে এই জলঘোলা কেন? সম্প্রতি উরি হামলার জেরে পাক শিল্পীদের ভারতে কাজ করা নিয়ে আপত্তি উঠেছে। সলমন কিন্তু পাক শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘‘ওঁরা জঙ্গি নন।’’ তাঁর এই অবস্থানের জন্যই কি রাজস্থানের বিজেপি শাসিত সরকার চিঙ্কারা মামলা নিয়ে নতুন করে আপত্তি তুলছে? আর কোকা কোলাও যে তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের পদ থেকে সরাতে চাইছে, সেটাও কি এই ঘটনারই প্রতিক্রিয়া? প্রশ্নটা তুলছেন সলমন-ভক্তদের একাংশ। কোকা কোলা সংস্থার তরফে অবশ্য কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। তবে সংস্থার ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, রণবীর কপূরের মতো কমবয়সী অভিনেতার কথা ভাবছেন তাঁরা।