Rajasthan

মন্দিরে ঢুকতে যাওয়ার ‘শাস্তি’, দলিত কিশোরের হাত-পা বেঁধে মার!

নির্যাতনের এখানেই শেষ হয়নি। এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই কিশোরকেই আটক করে জুভেনাইল হোমে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৯ ১৬:৫৩
Share:

ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি।

মন্দিরে প্রবেশও করেনি। শুধু ঢোকার চেষ্টা করেছিল। শুধুমাত্র এই‘অপরাধ’-এ এক দলিত কিশোরের হাত-পা বেঁধে নৃশংস ভাবে পেটাল এক দল যুবক। গত ১ জুন রাজস্থানের পালি জেলার ধানেরিয়া গ্রামে ঘটনা ঘটলেও ব্যাপক হারে তা প্রচারে আসে ৩ জুন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পর।

Advertisement

কিন্তু নির্যাতনের এখানেই শেষ হয়নি। এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই কিশোরকেই আটক করে জুভেনাইল হোমে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের যুক্তি, ওই নাবালকের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেছেন তারই এক কাকা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পকসো (প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনে তাকে আটক করে হোমে পাঠানো হয়েছে। উল্টে নিগ্রহকারীদের এক জনও ধরা পড়েনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ওই কিশোরের হাত ও পা একসঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাকে ঘিরে এক দল যুবক। অনেকেরই গেরুয়া পোশাক। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাটিতে শুয়ে পড়া ওই কিশোরকে পেটানো শুরুকরল দু’-তিন জন। অসহায়ের মতো আর্তনাদ করে চলেছে ওই কিশোর। সঙ্গে রাজস্থানী ভাষায় বারবার কিছু বলার চেষ্টা করছে। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ‘ভুল হয়ে গিয়েছে’, ‘আর কখনও হবে না’— এই জাতীয় কথা বলছিল ওই কিশোর। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা না করে বেধড়ক পেটাচ্ছে ওই যুবকরা।

Advertisement

কিন্তু পরের পর্ব আরও ভয়ঙ্কর! পুলিশওই কিশোরকেই আটক করে নিয়ে যায়। নাবালক হওয়ায় পাঠিয়ে দেয় জুভেনাইল হোমে। অথচ অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যম ও টিভি চ্যানেল-সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করার কারণেই ওই নাবালককে পেটায় অভিযুক্ত ওই যুবকরা।

আরও পডু়ন: রেড রোডের নমাজে গিয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মমতা

আরও পড়ুন: ‘বিজেপি দেখুক আমরা কী করতে পারি’ কুরলা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরকের সঙ্গে মিলল বার্তা

স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশের ভুমিকায় প্রশ্ন উঠেছে। নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে কিশোরকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ। কিন্তু যারা ওই কিশোরকে এ ভাবে হাত-পা বেঁধে নৃশংস ভাবে পেটাল, এবং সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পরও কেন পুলিশ তাদের গ্রেফতার করল না, তা নিয়ে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন