মোটরবাইকে রাজনাথ সিংহ। মঙ্গলবার সারন্ডায়। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী
বুলেটপ্রুফ কাচের আড়ালে নয়। নেই নিরাপত্তার বিশাল ঘেরাটোপ। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চলেছেন মোটরবাইকে। তাও আবার ঝাড়খণ্ডের সারন্ডার মাওবাদী এলাকার জঙ্গল-পথে। আদতে যা মাওবাদীদের ‘স্বর্গরাজ্য’ হিসেবেই পরিচিত। অতীতে অতর্কিত মাওবাদী হামলার অনেক ঘটনাই ঘটেছে এখানে।
পশ্চিম সিংভূমের থালকোবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনীর শিবির উদ্বোধনে যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ। যে পথের পুরোটা চার চাকার গাড়ি চলার রাস্তা নেই। আজ থালকোবাদ হেলিপ্যাডে নামার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা জানান, মোটরবাইকের পিছনে বসিয়ে তাঁরাই তাঁকে নিয়ে যাবেন ওই শিবিরে।
আপত্তি করেন রাজনাথ। মোটরবাইকের হাতল ধরে নিজেই বসেন আগে। পিছনে এক সেনা জওয়ান। রাজনাথের বক্তব্য, যৌবনে মোটরবাইকে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। তা হলে এখন কারও পিছনে বসবেন কেন?
ভরদুপুরে জঙ্গল ঘেরা পাহাড়ি রাস্তায় ধুতি-পাঞ্জাবি, জওহর কোটে দীর্ঘদেহী রাজনাথ চলেছেন। সঙ্গে আরও কিছু বাইকে সিআরপি জওয়ানরা। প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা মোটরবাইক চালিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পৌঁছন সেনা শিবিরে।
চাইবাসার ডেপুটি কমিশনার আবু বকর সিদ্দিকির কথায়, “মন্ত্রী নিজেই আচমকা বলেন, বাইক চালাবেন তিনিই। এক জন জওয়ান যেন তাঁর বাইকের পিছনে বসে পথ দেখিয়ে নিয়ে যান। মন্ত্রীর এ কথায় আমরা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।”
যদিও এ নিয়ে কোনও হেলদোল দেখাননি রাজনাথ। এ দিন বিকেলে রাঁচিতে রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠকে ওই প্রশ্নে তিনি হেসে বলেন, ‘‘যৌবনে নিয়মিত মোটরবাইক চালাতাম। আজ পুরনো ইচ্ছেটা হঠাৎ জেগে উঠল।” একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “হিংসার পথ ছেড়ে মূলস্রোতে ফিরুক মাওবাদীরা। তারা গণতন্ত্রের পথে আসুক। সরকার তাদের দিকে তখন সাহায্যের হাত এগিয়ে দেবে।”