ফাইল চিত্র।
রমজানে সেনা অভিযান বন্ধের সাফল্য প্রশ্নের মুখে। অগ্নিগর্ভ সীমান্ত। এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল শ্রীনগর যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তাঁর ওই সফরকে কাজে লাগিয়ে হুরিয়ত নেতৃত্বের সঙ্গে রাজনাথের বৈঠক করানোর পক্ষপাতী মেহবুবা মুফতির ঘনিষ্ঠ শিবির। শাসক দল মনে করছে, এতে উপত্যকার মানুষের কাছে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে। নীতিগত ভাবে কেন্দ্রের ওই প্রস্তাবে আপত্তি না থাকলেও, হুরিয়ত নেতাদের বৈঠকে নিয়ে আসার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মেহবুবা সরকারের উপরে। কারণ শেষ পর্যন্ত হুরিয়ত বৈঠকে না আসলে সেই ব্যর্থতার দায় যাতে কেন্দ্রের ঘাড়ে না চাপে।
সূত্রের খবর, মেহবুবা রাজনাথের কাছে আরও দু’মাস সেনা অভিযান বন্ধ রাখার জন্য আবেদন জানানোর পক্ষপাতী। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে, গত এক মাসের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তবেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ, জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাস এখনও অব্যাহত। এ দিনও মাছিল সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরোতে গিয়ে সেনার গুলিতে নিহত হয়েছে তিন জঙ্গি। এ দিকে ওই সফরকে কেন্দ্র করে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। কেন্দ্রকে তিনি জানিয়েছেন, সেনা অভিযান বন্ধ হওয়ায় কাশ্মীরের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও আগের চেয়ে শান্ত। স্বস্তিতে সাধারণ মানুষও। ওই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসুক দিল্লি। এ ভাবে কেন্দ্র ও উপত্যকার মানুষ, দু’পক্ষকেই ইতিবাচক বার্তা দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
রমজান মাসের মধ্যেও গত ২০ দিনে সেনা কনভয়ের উপরে প্রায় ২৮টি গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, গত দেড় বছর ধরে টানা অভিযান চলায় প্রচুর জঙ্গি মারা গিয়েছে। ফলে সরাসরি সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে যেতে চাইছে না জঙ্গিরা। বদলে ‘হিট অ্যান্ড রান’ কৌশল নিয়েছে তারা। চলছে নতুন জঙ্গি নিয়োগও। গত এক মাসে দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে ২৫ জন যুবক জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছে। যাদের মধ্যে তিন জন অবশ্য পরে পরিবারের ডাকে ঘরে ফিরে এসেছে।