স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সফরের ঠিক আগেই কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলতে উদ্যোগী হল পাকিস্তান।
সার্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দিতে আগামিকাল ইসলামাবাদ যাবেন রাজনাথ। তার ২৪ ঘণ্টা আগে কাশ্মীরে ভারতীয় ‘অত্যাচারে’র প্রতিবাদে সর্বসম্মতিতে একটি প্রস্তাব পাশ করেছে পাক পার্লামেন্ট। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান কাশ্মীরিদের পাশেই আছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের উচিত কাশ্মীরে একটি তদন্তকারী দল পাঠানো।
জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল কাশ্মীর। তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলার সব চেষ্টাই করেছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে সার্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দিতে রাজনাথ আদৌ যাবেন কিনা তা নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়। পরে অবশ্য নরেন্দ্র মোদী সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, রাজনাথ ইসলামাবাদ যাবেন। পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়েই কাশ্মীরের অশান্তিতে ইসলামাবাদের মদতের কথা তুলে ধরবেন তিনি।
সাউথ ব্লক সূত্রের মতে, পাকিস্তান বুঝতে পারছে সন্ত্রাস ও অশান্তিতে মদত নিয়ে তাদের চাপে পড়তে হবে। তাই পাল্টা চাপ হিসেবে ভারতীয় ‘অত্যাচারে’র বিষয়টি খুঁচিয়ে তুলতে চাইছে তারা। কাশ্মীরে বিক্ষোভের সময়ে আহতদের চিকিৎসায় সাহায্য করতে দল পাঠিয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা তথা জামাত-উদ দাওয়া। আজ পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার উপরে চাকোথি এলাকায় ধর্নায় বসেছে সেই দলের সদস্যরা। তাদের দাবি, কাশ্মীরিদের জন্য আনা ত্রাণসামগ্রী ভারত না নিলে ধর্না উঠবে না। লস্করের এই পদক্ষেপের পিছনেও পাক
সেনার মদত রয়েছে বলে ধারণা সাউথ ব্লকের।
বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা জানাচ্ছেন, পাক নেতৃত্বের সঙ্গে রাজনাথ কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন না। কিন্তু ‘সৌজন্যের খাতিরে’ পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী চৌধুরি নিসারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। সেই সময়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দিল্লির কাছে থাকা সাক্ষ্যপ্রমাণ নিসারের হাতে তুলে দিতে পারেন তিনি।