রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে ভোটাভুটি নিয়ে এখনও ‘গড়িমসি’ করছে সরকার। এরই মধ্যে ডেপুটি চেয়ারম্যানের ঘরটিও নিঃশব্দে ‘দখল’ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ভোট দ্রুত করানো নিয়ে সরকারের উপর চাপ বাড়াতে আজ কংগ্রেসের কাছে নতুন প্রস্তাব দিলেন শরদ পওয়ার।
কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী দলের বৈঠকে পওয়ার এদিন প্রস্তাব দেন, রাজ্যসভায় সব থেকে বড় দল কংগ্রেস, তৃণমূল এবং এসপি। ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে বিরোধী শিবির থেকে কার প্রার্থী হওয়া উচিত, তা এই তিন দলের নেতারা মিলে প্রথমে ঠিক করুন। তারপর সেই নাম বাকি বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। সূত্রের মতে, এই প্রস্তাবে সায় রয়েছে অধিকাংশ বিরোধী দলের। সে কারণে আজকের বৈঠকে কোনও নাম নিয়ে আলোচনা হয়নি। তৃণমূলের তরফে বৈঠকে উপস্থিত সুখেন্দুশেখর রায়ও জানিয়েছেন, তৃণমূলের কোনও প্রার্থী নেই। বিরোধীরা ঠিক করুক, কাকে প্রার্থী করা হবে।
তবে বিজেপি এখনও এই নিয়ে কৌশল জানাচ্ছে না। একাধিক সাংসদ আজ অভিযোগ করেন, ‘‘রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের জন্য গোড়া থেকে যে ঘরটি বরাদ্দ ছিল, সেটিও চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু দখল করে নিয়েছেন। এর থেকেই স্পষ্ট, নতুন ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে ভোট করানো নিয়ে সরকার কতটা আন্তরিক।’’ বিরোধীরা আজ স্থির করে, সরকার যাতে দ্রুত ভোটাভুটি করায়, সেজন্য চাপ বাড়ানো হবে, যাতে অনন্তকাল তারা তা ঝুলিয়ে রাখতে না পারে। আজ সকালে ১০, জনপথে রাহুল এবং সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকেও সেই কৌশল স্থির হয়েছে। আগামিকাল সকালে সরকারের সঙ্গে ও বিকেলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর সঙ্গে সব দলের সাংসদদের বৈঠকে এই চাপ বজায় রাখা হবে।
বিজেপির এক সূত্রে দাবি, সংখ্যা অনুকূলে এলেই ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন করিয়ে নেওয়া হবে। সে কারণেই তড়িঘড়ি রাষ্ট্রপতি মনোনীত চারজন সাংসদের নামও ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির সেই নেতার বক্তব্য, বিজেডি-র সঙ্গেও মোটের উপর ‘বোঝাপড়া’ হয়ে গিয়েছে। জগনের দল বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থনের কথা বলেছে, যাতে তাঁর প্রতিপক্ষ চন্দ্রশেখর রাও বিজেপির প্রার্থীকে সমর্থন করেন। জগনের থেকে রাওয়ের দলের সাংসদ বেশি।
বিজেপি এ-ও বলছে, আপাতত নরেশ গুজরালই এনডিএর প্রার্থী হবেন। তাঁর জয়ও হবে অনায়াস। ফলে বিরোধীরা যতই আলোচনা করে প্রার্থী ঠিক করুন, তাদের ভাগ্যে এ বারও শিকে ছিঁড়বে না।