যোগী আদিত্যনাথ
ভোট এগিয়ে আসতেই রাম মন্দিরের হাওয়া তোলা শুরু করল গেরুয়া শিবির। এমনকি আদালতের রায় না এলেও ২০১৯ সালের আগে রাম মন্দির নির্মাণের ডাক উঠল অযোধ্যায়।
কাল থেকেই দিল্লিতে দু’দিনের বৈঠক করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আর আজ অযোধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সামনেই বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ ও রামজন্মভূমি ন্যাসের সদস্য রামবিলাস বেদান্তি বলেন, ‘‘যে ভাবে অযোধ্যায় বিতর্কিত কাঠামো ভাঙা হয়েছিল, সে ভাবেই আদালতের রায় না এলেও ২০১৯ সালের আগে রামমন্দির নির্মাণ হবে।’’ বেদান্তির কথা এখন একটু ‘লাগামছাড়া’ হয়ে যাওয়ায় সামলে নিয়ে আদিত্যনাথ সাধুদের অপেক্ষা করতে বলেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘রামের যখন আশীর্বাদ হবে, তখনই মন্দির নির্মাণ হবে। সাধুদের মনে এ নিয়ে সংশয় থাকা উচিত নয়।’’
দিল্লিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, ২-৩ মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় তারা। ৬ জুলাই থেকে ফের শুরু হচ্ছে শুনানি। পরিষদের আবেদন, প্রতিদিন শুনানি করে দ্রুত রায় দিক শীর্ষ আদালত।
কিন্তু যদি রায় না আসে? পরিষদের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে সাধু-সন্তদের সঙ্গে কথা বলে পরের কর্মসূচি নেওয়া হবে।
কংগ্রেস জানে, লোকসভা ভোটের আগে রাম মন্দির নির্মাণকে সামনে রেখে হিন্দুত্বের হাওয়া তুলতে চায় বিজেপি। সে কারণে এখন থেকেই তারা ধাপে ধাপে সেই পথে এগোচ্ছে। আজও বিজেপি জরুরি অবস্থার সঙ্গে হিন্দুত্বকে জুড়ে দিয়েছে। বিজেপি দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, ‘‘জরুরি অবস্থার পরে ‘ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া’ স্লোগান তুলেছিল কংগ্রেস। হিন্দু মতে, ভারত মানে শুধুই ভারত-মাতা। আর সেই রাহুল গাঁধীর দলের নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বলছেন, হিন্দু বলে কিছু নেই। তা হলে পৈতেধারী রাহুল গাঁধী এর জবাব দিন।’’
কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, যোগী কিংবা পরিষদ এখন রেখেঢেকে বললেও বেদান্তি যা বলেছেন, সেটিই গেরুয়া শিবিরের আসল চিত্রনাট্য। পরিষদ থেকে বেরিয়ে যাওয়া প্রবীণ তোগাড়িয়াও পৃথক সংগঠন গড়ে রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে পাল্টা কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। এ নিয়ে পরিষদের নেতা অলোক কুমার বলেন, ‘‘বিদ্বেষ, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর নকল করে কেউ সফল হয় না। তোগাড়িয়ার জন্য দরজা খোলা, ফিরতে চাইলে স্বাগত।’’