বিধানসভা অধিবেশন শেষ হলে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ সরেজমিনে দেখতে বরাক সফরে যাবেন সেচমন্ত্রী রঞ্জিৎ দত্ত।
আজ হাইলাকান্দির বিধায়ক আনোয়ার হুসেন লস্কর জানান, বন্দুকমারা সেচ প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে তিনি গত অধিবেশনেও অভিযোগ তুলেছিলেন। মন্ত্রী প্রকল্প বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও চিফ ও কার্যবাহী ইঞ্জিনিয়ার চার কোটি ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার জন্য প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছেন। লস্করের দাবি, আগের আমলের দুর্নীতিগ্রস্থ অফিসার-ইঞ্জনিয়াররা এখনও বরাকে দুর্নীতি চালাচ্ছেন। নতুন সরকারের স্বচ্ছতার বার্তা কাজে আসছে না। অবিলম্বে বরাকে কর্মরত অফিসার, ইঞ্জনিয়ারদের বদলি করা হোক। মন্ত্রী জানান, তাঁর নির্দেশের পরেও কাজ চলতে থাকার ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত সচিবকে তদন্তের নির্দেশ দেবেন। বিধানসভা অধিবেশন শেষ হলে তিনি নিজে বরাক সফরে যাবেন।
স্পিকার হিতেন্দ্রনাথ গোস্বামীও সেচ বিভাগের গাফিলতি নিয়ে সরব হন। স্পিকারের আসনে থেকেই তিনি অভিযোগ জানান, যোরহাটে কৃষি প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। সেচকর্তারা জানিয়েছিলেন কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু কিছু দিন পরেই সেচের যন্ত্র বিকল হয়ে যায়। তিনি নিজের তহবিল থেকে ৭ লক্ষ টাকা দিয়ে নতুন যন্ত্রের ব্যবস্থা করছেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ‘‘দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’’
অন্য দিকে, মার্গারিটায় তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব এনটিপিসিকে দিল সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, শ্রম প্রতিমন্ত্রী পল্লবলোচন দাস, মুখ্যসচিব ভি কে পিপারসেনিয়া গত কাল কোল ইন্ডিয়া, এনটিপিসি, এপিজিসিএলের সঙ্গে বৈঠক করেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মার্গারিটার আশপাশে লিডো কয়লাখনি অঞ্চল থাকায় সেখানে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দু’টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়া যেতে পারে।