ধৃত: থানায় প্রজাপতি। ছবি: পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশে পালাবদলের চার দিনের মধ্যেই গ্রেফতার হলেন গণধর্ষণে অভিযুক্ত সপা নেতা গায়ত্রী প্রজাপতি। গত এক মাস বেপাত্তা ছিলেন অখিলেশ সরকারের এই প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। এসএসপি মঞ্জিল সাইনি জানান, আজ সকালে লখনউয়ের আশিয়ানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রজাপতিকে।
আজ পকসো (প্রোটেকশন অব চিলড্রেন এগেন্স্ট সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত হয়েছে প্রজাপতির। এই গণধর্ষণ মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে আরও ৬ অভিযুক্ত। অভিযোগ বছর তিনেক আগেকার। তবে মামলা দায়ের হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। প্রজাপতি ও তাঁর ছয় সঙ্গীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ আনেন চিত্রকূট এলাকার এক মহিলা। তাঁর নাবালিকা মেয়েকেও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি অভিযোগকারিণীর। আট সপ্তাহের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: দল ক্ষমতা থেকে সরতেই গ্রেফতার ধর্ষণে অভিযুক্ত সপা নেতা গায়ত্রী
রাজ্যে বিজেপি আসছে বলেই কি তড়িঘড়ি গ্রেফতারি? অভিযোগ উড়িয়ে এসএসপি-র দাবি, ‘‘সমানে এলাকা পাল্টাচ্ছিলেন প্রজাপতি। ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তারক্ষীদেরও কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছিলেন না। তাঁর ফোনের টাওয়ার তিনটে রাজ্যে ঘুরছিল। আজ খবর মেলে, উনি আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন। তখনই ধরা হয়।’’
প্রথম জীবনে খনি এলাকার ঠিকাদারের কাজ করা প্রজাপতি মুলায়ম সিংহের ঘনিষ্ঠ। ২০০২ সালে বিপিএল কার্ড ছিল। সেই প্রজাপতিরই ঘোষিত স্থাবর সম্পত্তি এখন দশ কোটি টাকার।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিপুল সম্পত্তি আর অনগ্রসর শ্রেণির কাছে জনপ্রিয়তার জন্য গায়ত্রীকে বরখাস্ত করেও মন্ত্রিসভায় ফিরিয়েছিলেন অখিলেশ। সপা নেতা রামগোপাল যাদব অবশ্য বলেন, ‘‘প্রজাপতিকে গ্রেফতারের সব চেষ্টাই জারি ছিল।’’