Shaktikanta Das

ভরসা দিতে ফের বার্তা দিলেন শক্তিকান্ত

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শক্তিকান্তের দাবি, এনবিএফসি-র নগদে যাতে টান না-পড়ে, তার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি শীর্ষ ব্যাঙ্ক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৪৭
Share:

শক্তিকান্ত দাস।

মিউচুয়াল ফান্ড লগ্নিকারীদের পর এ বার বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের গ্রাহক এবং ব্যাঙ্ক নয় এমন সংস্থাগুলিকেও (এনবিএফসি) ভরসা দেওয়ার চেষ্টা করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস

Advertisement

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শক্তিকান্তের দাবি, এনবিএফসি-র নগদে যাতে টান না-পড়ে, তার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি শীর্ষ ব্যাঙ্ক। অর্থনীতির এই টালমাটাল সময়ে কড়া নজর রাখা হচ্ছে প্রত্যেক ব্যাঙ্কের হিসেবের খাতা (ব্যালান্স শিট) এবং তার সার্বিক আর্থিক স্বাস্থ্যের উপরে।

ফ্র্যাঙ্কলিন টেম্পলটন তাদের ছয় ডেট ফান্ডে (যারা মূলত ঋণপত্রে লগ্নি করে) রাতারাতি তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। টাকা তুলতে চাওয়া লগ্নিকারীদের তা ফেরত দিতে ফান্ডগুলির যাতে অসুবিধা না-হয়, সে জন্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক মারফত ৫০ হাজার কোটি টাকা জোগানোর কথা বলেছে তারা।

Advertisement

কিন্তু অভ্যন্তরীণ সমস্যায় এর আগে সাময়িক ভাবে নির্দিষ্ট অঙ্কের বেশি টাকা তোলা বারণ হয়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক এবং পঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্কেও। ফ্র্যাঙ্কলিন-কাণ্ডের পরে তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তাঁদের মতে, টাকা সুরক্ষিত থাকার ভরসাতেই ব্যাঙ্ক কিংবা ফান্ডে টাকা রাখেন মানুষ। তেমনই এই সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানও চলে এই ভরসায় যে, এক সঙ্গে জমানো টাকা তুলে নেবেন না সকলে। কিন্তু লগ্নিকারীদের আস্থা টোল খেলে, একসঙ্গে অনেকে ছুটবেন টাকা তুলে নিতে। বিপদে পড়বে ফান্ড, এমনকি ব্যাঙ্কও। তার উপরে লকডাউনের জেরে আগামী দিনে অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যা বহু গুণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা।

ঠিক এখানেই গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন শক্তিকান্ত। বলেছেন, “ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের উপরে কড়া নজর রাখছি আমরা।… তাদের হাতে যা মূলধন আছে, তা অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যা সামাল দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। আর্থিক স্বাস্থ্য যথেষ্ট ভাল।”

আরও পড়ুন: ‘মুসলিম বিক্রেতা এড়ান’, বিতর্কে বিধায়ক

আরও পড়ুন: ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহে পরতে হবে পিপিই

লকডাউন শুরুর অনেক আগেই হাতে নগদের অভাবের কথা বলেছিল এনবিএফসি ক্ষেত্র। গরমিল ধরা পড়েছিল তাদের কয়েকটির হিসেবের খাতাতেও। অথচ দেশের ছোট-মাঝারি শিল্পের বড় অংশকে ঋণের অক্সিজেন জোগায় এনবিএফসি-ই। লকডাউন ওঠার পরেও শিল্পের চাকা ফের গড়াতে ছোট-মাঝারি সংস্থাকে কম সুদে কার্যকরী মূলধন বা ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল (সংস্থা চালানোর প্রতি দিনের খরচ সামাল দিতে যে টাকা লাগে) জোগানোর কাজেও বড় ভূমিকা নিতে হবে তাদের। এই পরিস্থিতিতে এনবিএফসিগুলির হাতে পর্যাপ্ত নগদ না-থাকলে বা তারা নিজেরা নড়বড়ে হলে ছোট শিল্পের আরও মাথা কোটার সম্ভাবনা।

সম্ভবত এ কথা মাথায় রেখেই শক্তিকান্তের আশ্বাস, “ছোট-মাঝারি এনবিএফসি এবং ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলিতে নগদের পর্যাপ্ত জোগান অব্যাহত রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে আরও পদক্ষেপ করব আমরা।” এনবিএফসি সমেত নিজেদের নিয়ন্ত্রণের আওতায় থাকা সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপরে নজরদারিতে শীর্ষ ব্যাঙ্ক বিন্দুমাত্র ঢিলে দেবে না বলেও তাঁর দাবি।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন