নোট বাতিলের ঘোষণা ইস্তক এক বারই প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তার পর গত ১৯ দিন ধরে তাঁর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিস্তর। অবশেষে আজ মুখ খুললেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেল। যে সমস্ত সৎ নাগরিক নোট বাতিলের জেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের কষ্ট লাঘব করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যথাসাধ্য করছে বলে জানালেন গভর্নর। কিন্তু একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে তাঁর আর্জি, তাঁরা যেন ডেবিট কার্ড এবং ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার শুরু করেন।
আজ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উর্জিত আশা প্রকাশ করেন, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। ১০০ এবং ৫০০ টাকার নোটের ঘাটতি মেটাতে টাঁকশালগুলি পূর্ণ ক্ষমতায় টাকা ছাপছে বলে জানিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এটিএম এবং ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে লাইন কমেছে বলে তারা আমাদের জানিয়েছে। নিত্যপণ্যের জোগানেও ঘাটতি নেই।’’
ব্যাঙ্কে লম্বা লাইনের পাশাপাশি বাণিজ্যে টান কেন পড়েছে, জানতে চাওয়ায় উর্জিত বলেন, ‘‘বাজারে চালু নোটের ৮৬ শতাংশ এক ধাক্কায় তুলে নেওয়ার মতো ঘটনা জীবনে এক বারই ঘটে। এর জন্য সম্পূর্ণ গোপনীয়তা জরুরি ছিল। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘণ্টায় সমস্ত ব্যাঙ্ককে তৈরি করা যায়নি। কিছু সমস্যা অবশ্যই হয়েছে। সকলের সহযোগিতা চাইছি।’’
উর্জিতের এই আশ্বাসকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘মনে হয় না প্রধানমন্ত্রীকে কেউ বলে দিয়েছিলেন যে, তিনি বাজার থেকে ২৩০০ কোটি নোট তুলে নিচ্ছেন। টাঁকশাল মাসে সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি নোট ছাপতে পারে। কাজেই এই ঘাটতি মেটাতে সাত মাস লাগবে।’’