নয়াদিল্লিকে তোপ পাক সেনাপ্রধানের

নাম না করে ভারতকে তীব্র আক্রমণ করলেন পাক সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ। সেই সঙ্গে পাকিস্তানে চিনা সাহায্যের প্রশংসাও করেছেন তিনি। সাম্প্রতিক ভারত-পাক বাগ্‌যুদ্ধ নিয়ে আজ মুখ খুলেছে আমেরিকাও। মায়ানমারে ভারতীয় সেনার জঙ্গি দমন অভিযানের পরে উত্তাপ বেড়েছে ভারত-পাক সম্পর্কেরও। ভারতীয় সেনা সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে আঘাত হানার পরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ইসলামাবাদ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৫ ০৩:২০
Share:

নাম না করে ভারতকে তীব্র আক্রমণ করলেন পাক সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ। সেই সঙ্গে পাকিস্তানে চিনা সাহায্যের প্রশংসাও করেছেন তিনি। সাম্প্রতিক ভারত-পাক বাগ্‌যুদ্ধ নিয়ে আজ মুখ খুলেছে আমেরিকাও।

Advertisement

মায়ানমারে ভারতীয় সেনার জঙ্গি দমন অভিযানের পরে উত্তাপ বেড়েছে ভারত-পাক সম্পর্কেরও। ভারতীয় সেনা সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে আঘাত হানার পরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ইসলামাবাদ। পাক সরকারের তরফে জানানো হয়, মায়ানমার আর পাকিস্তান এক নয়। ভারতে সন্ত্রাস ছড়াতে পাকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণের কথা দীর্ঘ দিন ধরেই প্রচার করছে নয়াদিল্লি। মায়ানমারের মতো ঘটনা পাকিস্তানে হলে তারা উপযুক্ত জবাব দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ। আজ পাক নৌসেনা অ্যাকাডেমিতে সেই সুরেই রাহিল শরিফ বলেছেন, ‘‘সংঘর্ষ বিরতি ভাঙা, বালুচিস্তান ও উপজাতীয় এলাকায় গোলমাল পাকানো, করাচিতে অশান্তি তৈরির মতো নানা কাজকর্ম করছে শত্রু দেশ। গোটা বিশ্ব এই বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করেছে।’’ নাম না করলেও রাহিলের ইঙ্গিত যে ভারতের দিকে সেই বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। কারণ, দীর্ঘদিন ধরেই বালুচিস্তান ও করাচিতে গোলমালের পিছনে ভারতীয় মদত রয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।

ভারতকে আক্রমণের পাশাপাশি আজ চিনা সাহায্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাহিল। চিনা সাহায্যে তৈরি গদর বন্দর পাকিস্তানের একটি এলাকার অর্থনীতির হাল বদলে দেবে বলে দাবি করেছেন তিনি। মায়ানমারে জঙ্গি শিবির ধ্বংস করে দিল্লি বেজিংকেও বার্তা দিতে চেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, উত্তর-পূর্বের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে দিল্লির বিরুদ্ধে ফের সক্রিয় করতে চিনা সেনাবাহিনী মদত দিয়েছে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। সে ক্ষেত্রে আজ হঠাৎ রাহিলের মুখে চিনের প্রশংসা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকেরা।

Advertisement

ভারত-পাক বাগযুদ্ধ নিয়ে মুখ খুলেছে আমেরিকাও। বিদেশ দফতরের মুখপাত্র জেফ রাথকের কথায়, ‘‘দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি রক্ষায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই দু’দেশই উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করুক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন