সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই ভুয়ো লগ্নি সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রণে বিল নিয়ে আসার সুপারিশ করল অর্থ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির সুপারিশ, ভুয়ো লগ্নি সংস্থার নিয়ন্ত্রণে যে সব ফাঁকফোকর রয়েছে, তা বুজিয়ে ফেলতে নতুন আইনের দরকার। কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত সেই কাজ সেরে ফেলুক।
অরুণ জেটলি বাজেটেই ঘোষণা করেছিলেন, ভুয়ো লগ্নি সংস্থার দৌরাত্ম্য রুখতে চলতি অর্থ বছরেই আইন তৈরি হবে। সেই ‘বেআইনি লগ্নিপ্রকল্প নিষেধাজ্ঞা ও আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষা বিল’-এর কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। অর্থ মন্ত্রক আইনের খসড়া তৈরির পর আন্তঃমন্ত্রক গোষ্ঠীতে আলোচনা হয়ে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতামত নেওয়ার কাজও শেষ। খসড়া চূড়ান্ত করে এ বার তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক স্থায়ী কমিটিকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনায় নতুন ২১ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা, সুরক্ষা বিমা যোজনা ও অটল পেনশন যোজনাও চালু হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থায় না গিয়ে সরকারি স্পল্প সঞ্চয় প্রকল্পে টাকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংসদীয় কমিটির বক্তব্য, বহু রাজ্য লগ্নিকারীদের স্বার্থরক্ষায় নিজস্ব আইন তৈরি করেছে। কিন্তু যারা ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন, তাদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দৃষ্টান্ত মিলছে না। এ জন্য টাকা তোলার আগেই তাদের কাজকর্ম বন্ধ করা জরুরি। বেআইনি লগ্নি সংস্থাগুলি মানুষকে সর্বস্বান্ত করার আগেই এদের তথ্য পেতে গোয়েন্দা ব্যবস্থা মজবুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্পোরেট বিষয় মন্ত্রক।