ফাইল চিত্র।
ফের অস্বস্তির মুখে অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি। দলের তহবিলে জমা টাকার হিসেব দিতে না পারায় গত পরশুই আপকে নোটিস পাঠিয়েছিল আয়কর দফতর। আর আজ নির্বাচন কমিশনকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে আপের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করল তারা।
লোকসভা ভোটের সময়ে বিদেশ থেকে তারা দু’কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছিল বলে অডিট রিপোর্টে জানিয়েছিল আপ। কিন্তু আয়কর দফতরের কাছে সেই দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ পেশ করতে পারেনি তারা। ওই টাকার উৎস কী বা কারা টাকা দিয়েছিল, তা জানতে চেয়ে সপ্তাহ খানেক আগে আপের ব্যাখ্যা চায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু সেখানেও অনুপস্থিত ছিলেন আপের প্রতিনিধিরা। এর পর কমিশনের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে আপের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। ১৬ মে-র মধ্যে জবাব চেয়েছে আয়কর দফতর। সুযোগ বুঝে সরব হয়েছে বিজেপি। দলের অভিযোগ, হাওলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আপ। তাই অভিযোগের বিস্তারিত তদন্ত হওয়া উচিত।
আপের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিল্লির দুর্নীতি দমন শাখার কাছে আজ ট্যাঙ্কার দুর্নীতি নিয়ে নিজের বক্তব্য জানাতে যান বিদ্রোহী আপ বিধায়ক কপিল মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের আমলে হওয়া ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির তদন্তে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কেজরীবাল ও তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই নেতা। সূত্রের খবর, কী ভাবে দিল্লি সরকার তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল, সে বিষয়ে দুর্নীতি দমন শাখাকে জানিয়েছেন কপিল। এই আক্রমণেও আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংঘাত বজায় রেখেছে আপ। এ দিন আপ বিধায়করা সমর্থকদের নিয়ে কমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখান।