সীমান্তের ৬০০ মিটার ভিতরে ‘চিনের রাস্তা’

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, প্রতিবেশী কূটনীতিতে কোণঠাসা ভারতের পক্ষে নতুন বছরে চিনের সঙ্গে ডোকলাম-দ্বিতীয় পর্ব শুরু করা সম্ভব নয়। বরং সাউথ ব্লক চিনের সঙ্গে সম্পর্ক শোধরানোর জন্য সক্রিয় হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৫
Share:

জেলাশাসকের দাবি, তেমন কিছুই ঘটেনি। এসপি বলছেন, কোনও তথ্য বা অভিযোগ তো নেই। ঘটনা মানতে নিমরাজি সেনাবাহিনীও। কিন্তু ভারতীয় ভূখণ্ডে ‘চিনা আগ্রাসনের’ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইলেও গ্রামবাসীদের তুলে আনা ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে দিল, নিছক সীমান্তঘেঁষা এলাকায় তর্কাতর্কি নয়, অরুণাচলপ্রদেশের আপার সিয়াং জেলায় ভারতের ভিতরে প্রায় ৬০০ মিটার ঢুকে রাস্তা তৈরি করছিল চিন।

Advertisement

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, প্রতিবেশী কূটনীতিতে কোণঠাসা ভারতের পক্ষে নতুন বছরে চিনের সঙ্গে ডোকলাম-দ্বিতীয় পর্ব শুরু করা সম্ভব নয়। বরং সাউথ ব্লক চিনের সঙ্গে সম্পর্ক শোধরানোর জন্য সক্রিয় হচ্ছে। একই সঙ্গে চিন এবং পাকিস্তান উভয়ের সঙ্গে বৈরিতার দরজা খোলার মতো সময় ও সুযোগ এই মুহূর্তে মোদী সরকারের হাতে নেই। এই ধরনের অনুপ্রবেশ এবং চিনের পতাকা পুঁতে রেখে চলে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলি অরুণাচলে ঘটতেই থাকে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশ, বেশি জলঘোলা না করে যতটা সম্ভব স্থানীয় স্তরেই বিষয়টির নিষ্পত্তি করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রেও সেই চেষ্টা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে এ বারে সরকার কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েছে গ্রামবাসীরা ঘটনায় জড়িয়ে পড়ায়। ২৮ ডিসেম্বর টুটিংয়ের বিশিং গ্রামে চিনের সেনাবাহিনী ও অসামরিক নির্মাণকর্মীরা রীতিমতো এক্সক্যাভেটর নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ে। স্থানীয় গ্রামবাসীরাই তাদের প্রথমে বাধা দেন। খবর পেয়ে হাজির হয় ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী। সমস্ত ঘটনাই গ্রামবাসীদের স্মার্ট ফোনে ধরা আছে। খবর ছ়ড়িয়ে পড়ে সেখান থেকেই। জেলা প্রশাসন, পুলিশ বা মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর দফতর ঘটনাটি স্বীকার করেনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন