Republic Day 2022

Republic Day 2022: হেলিকপ্টারের কসরত থেকে সহস্র ড্রোনের ব্যবহার, প্রজাতন্ত্র দিবসে নতুন অনেক কিছু

করোনা আবহে নেওয়া হচ্ছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। কেবলমাত্র জোড়া টিকা নেওয়া ব্যক্তিদেরই প্রবেশাধিকার। সেই সঙ্গে অগুন্তি চোখ ধাঁধানো নতুনত্ব।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:১৯
Share:

ফাইল ছবি।

আর মাত্র কিছু ক্ষণের অপেক্ষা। রাজধানী দিল্লির রাজপথে শুরু হতে চলেছে প্রজাতন্ত্র দিবসের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ। তবে করোনা আবহে নেওয়া হচ্ছে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে রয়েছে অগুন্তি নতুনত্ব, যা নিশ্চিত আপনার চোখ ধাঁধিয়ে দেবে।

ঐতিহ্য বজায় রেখে বুধবার সকালে প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হবে। তার পর জাতীয় সঙ্গীত এবং ২১ তোপধ্বনির সেলামি। এর পরই শুরু হয়ে যাবে প্যারেড। শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে রাষ্ট্রপতিকে অভিবাদন দেবে সেনা, আধা সেনা ও অন্যান্যরা। এর পরই বীরত্ব-পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।

Advertisement

এই পর্যন্ত, অন্যান্য বারের থেকে আলাদা কিছু নয়। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এ বারের প্রজাতন্ত্র দিবসকে আলাদা উচ্চতা দিতে বেশ কিছু নতুন নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ বারই প্রথম কুচকাওয়াজে দেখা যাবে সামরিক বিমান ও যুদ্ধবাজ হেলিকপ্টারের কসরত। ৭৫টি যুদ্ধ বিমান ও হেলিকপ্টার অংশ নেবে তাতে।

Advertisement

এ বারই প্রথম ২৯ জানুয়ারির ‘বিটিং দ্য রিট্রিট’ অনুষ্ঠানে ব্যবহার হবে ড্রোন। সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ১ হাজারটি ড্রোন ব্যবহার হবে এই কাজে। সেই সঙ্গে এ বারই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারা়ডে থাকছে ‘প্রোজেকশন ম্যাপিং’।

এ বারই প্রথম গোটা দেশ থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বেছে নেওয়া ৪৮০ জন শিল্পী কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করবেন।

১০টি অতিকায় এলইডি পর্দা-সহ ‘শহিদো কো শত শত নমন’ কর্মসূচির সূচনা হবে কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কলা কুম্ভ’।

প্যারাডে অংশ নেবে সেনার ছ’টি শাখা। তার মধ্যে রয়েছে রাজপূত রেজিমেন্ট, অসম রেজিমেন্ট, জম্মু-কাশ্মীর লাইট রেজিমেন্ট, শিখ লাইট রেজিমেন্ট, আর্মি অর্ডন্যান্স কর্পস এবং প্যারাশুট রেজিমেন্ট।

মাদ্রাজ রেজিমেন্টাল সেন্টার, কুমায়ুন রেজিমেন্টার সেন্টার, মরাঠা লাইট রেজিমেন্টাল সেন্টার, জম্মু-কাশ্মীর লাইট রেজিমেন্টাল সেন্টার, ১৪ গোর্খা ট্রেনিং সেন্টার-সহ একাধিক গোষ্ঠীর মিলিত ‘কম্বাইন্ড ব্যান্ড’ অংশ নেবে মার্চ পাস্টে।

মার্চ পাস্টে অংশ নেওয়া সমস্ত শাখারই মূল লক্ষ্য থাকবে গত ৭৫ বছর ধরে সেনার পোশাক ও অস্ত্রে বিবর্তনের ইতিহাস তুলে ধরা।

এ ছাড়াও থাকবে ১২টি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ৯টি মন্ত্রক ও বিভাগের সুদৃশ্য ট্যাবলো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন