রাজ্যের বিভিন্ন ট্রেজারিতে গচ্ছিত গণ্ডারের খড়্গগুলি ঠিকঠাক আছে তো? আসল খড়্গ সরিয়ে নিয়ে অন্যকিছু রাখেনি তো কেউ? এই ধরনের সংশয়-আশঙ্কার মধ্যেই অসমে শুরু হল বিভিন্ন ট্রেজারিতে রাখা গণ্ডারের খড়গের পরীক্ষা পর্ব।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি আজ থেকে গোলাঘাট থেকে কাজ আরম্ভ করেছে। ওই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত আইএফএস অফিসার মোহনচন্দ্র মালাকার। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। সার্কিট হাউসেই মাইক্রো ল্যাব বসানো হয়েছে। ট্রেজারি থেকে কড়া নিরাপত্তায় গন্ডারের খড়্গগুলি সার্কিট হাউসে আনা হচ্ছে। সেখানেই প্রতিটি খড়্গ খুটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোনও ধরনের সন্দেহ দেখা দিলে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য চাইছেন মোহনবাবুরা।
তবে প্রথম দিনে কোনও ধরনের গরমিল ধরা পড়েনি বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। বন দফতর সূত্রে খবর মিলেছে, খড়্গগুলি পরীক্ষা করার পর বিশেষজ্ঞ কমিটি বিস্মিত, এত দিনেও ন্যূনতম পরিবর্তন ঘটেনি খড়্গগুলির। সব চেয়ে কম ২০ গ্রাম থেকে ১ কিলোগ্রাম ৬১৫ গ্রাম ওজনের সবচেয়ে ভারী পর্যন্ত— ওই একই কথা। এমনকী সেগুলি ট্রেজারিতে জমা করার সময় যে বন অফিসাররা সই-সিল করেছেন, তাঁদের ডেকে সেগুলির যথার্থতাও পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ট্রেজারিতে জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর একেকটি নম্বর দেয়। সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রাথমিক অনুসন্ধান পর্বে। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, এখন ছবি তুলে পুরনো ওজন ও বর্তমান ওজন সহ সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কাজিরাঙা অভয়ারণ্যে প্রতি বছর শতাধিক খড়্গ পাওয়া যায়। বার্ধক্য, সংঘর্ষ, বাঘের আক্রমণ, বন্যা প্রভৃতি নানা কারণে গণ্ডারের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে গোলাঘাটেই মজুত রয়েছে সবচেয়ে বেশি। এরপর নগাঁও, তেজপুর, গুয়াহাটিতে। সরকারি সূত্রটি জানিয়েছেন, একে একে উদ্ধার হওয়া সব কটি গন্ডারের খড়্গ ওই ট্রেজারিতে ভেরিফিকেশন করা হবে।