পুলিশের কন্ট্রোল রুম ঘুরবে ঝাড়খণ্ডের রাস্তায়

পাঁচ মিনিটে পুলিশ। ১০০ নম্বরে ফোন করলে এ বার থেকে এতটাই দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছবে বলে প্রতিশ্রুতি দিল ঝাড়খণ্ড প্রশাসন। সে জন্য রাঁচি, জামশেদপুর, ধানবাদের রাস্তায় নামানো হল চলমান পুলিশ কন্ট্রোল রুম (পিসিআর) ভ্যান।

Advertisement

আর্যভট্ট খান

রাঁচি শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৫ ০৩:৩৫
Share:

পাঁচ মিনিটে পুলিশ।

Advertisement

১০০ নম্বরে ফোন করলে এ বার থেকে এতটাই দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছবে বলে প্রতিশ্রুতি দিল ঝাড়খণ্ড প্রশাসন। সে জন্য রাঁচি, জামশেদপুর, ধানবাদের রাস্তায় নামানো হল চলমান পুলিশ কন্ট্রোল রুম (পিসিআর) ভ্যান।

পড়শি পশ্চিমবঙ্গে ‘১০০’ নম্বর নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ বিস্তর। নানা ঘটনা বা দুর্ঘটনার পর অভিযোগ উঠেছে, ওই নম্বরে ফোন করলেও সময়মতো পুলিশের দেখা মেলেনি। কখনও ওই নম্বরে ফোনের লাইনই পাওয়া যায়নি। কখনও বা কেউ ফোনই ধরেননি।

Advertisement

ঝাড়খণ্ডের ছবিটাও অনেকটা একই রকম ছিল। কয়েকটি ঘটনায় দেখা গিয়েছে, ১০০ নম্বরে ফোন করার পর পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় খবর পৌঁছতেই কয়েক ঘন্টা সময় লেগেছে। সেই সমস্যা কাটাতেই নতুন রাস্তায় এগোল রাজ্য পুলিশ।

আজ রাজ্য পুলিশের ডিজি ডি কে পাণ্ডে বলেন, ‘‘এখন থেকে ১০০ নম্বর আরও বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হবে। পিসিআর গাড়িগুলো গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হবে। কোনও ঘটনাস্থলের সব চেয়ে সামনে যে গাড়িটি থাকবে, সেটিই সেখানে দ্রুত পৌঁছবে।’’ এডিজি (অপারেশন) সত্যনারায়ণ প্রধান বলেন, ‘‘আগে পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সংশ্লিষ্ট থানা বা থানার নজরদারি গাড়িগুলিকে ফোন করা হতো। এতে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যেত। এ বার থেকে ওই সমস্যা অনেকটাই কমবে।’’

আপৎকালীন ১০০ নম্বরকে আরও প্রযুক্তি নির্ভর করছে ঝাড়খণ্ড। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এখনও আঁকড়ে রয়েছে পুরনো পদ্ধতিই। বিধাননগর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (ডিডি) কঙ্করপ্রসাদ বারুই অবশ্য বলেন, ‘‘আমাদের এখানেও ১০০ ডায়ালে ফোন করলে সঙ্গে সঙ্গে কন্ট্রোল রুমে খবর যায়। না হলে ওই ফোন যায় সংশ্লিষ্ট থানায়। সেখান থেকে দ্রুত মোবাইল ভ্যানে খবর দেওয়া হয়।’’

পিসিআর গাড়ি থাকলে কি ঘটনাস্থলে পৌঁছতে আরও সুবিধা হতো? কঙ্করবাবুর জবাব, ‘‘এখনও দেরি হচ্ছে বলে মনে হয় না।’’

এ দিন পিসিআর গাড়িগুলির উদ্বোধনে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস বলেন, ‘‘ওই গাড়িগুলি সব সময় রাস্তায় রয়েছে কি না, সে দিকে পুলিশকর্তাদের নজর রাখতে হবে। না হলে এই প্রকল্প শুরু হলেও, তা সত্যি কতটা কার্যকর হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন