এক সপ্তাহ পর খোঁজ মিলল শিলচর থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী রূপম দাসের। পারিবারিক সূত্রে খবর, ২৪ এপ্রিল সন্ধেয় করিমগঞ্জ জেলার ভাঙ্গায় যাওয়ার জন্য শিলচর শহরের তারাপুরে অপেক্ষা করছিলেন রূপমবাবু। গন্তব্যে পৌঁছে দেবে বলে একটি গাড়ি তাঁকে তুলে নেয়। কিন্তু সেই রাতেই তাঁর বাড়িতে ওই ব্যবসায়ীর মুক্তিপণ বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করে ফোন করা হয়। কাছাড় জেলার লক্ষ্মীপুর বাজারে রূপমবাবুর প্রসাধনী সামগ্রীর দোকান রয়েছে। সেখানেই তাঁর ভাড়াবাড়ি। কাছাড়ের পুলিশ সুপার দিগন্ত বরা জানান, ঘটনার কথা থানায় জানানো হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তারই মধ্যে শুক্রবার ওই ব্যবসায়ীকে মুক্তি দেওয়া হয়। তদন্তকারী অফিসার তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন। পুলিশ সুপারের কথায়, ‘‘দুষ্কৃতীদের খুঁজে বের করা হবেই।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে রূপমবাবু বাড়িতে ফোন করে জানান— তিনি মুক্তি পেয়েছেন। হাইলাকান্দি জেলার রামকৃষ্ণ সরনিতে রয়েছেন। বাড়ির লোকজন গিয়ে তাঁকে নিয়ে আসেন। গত কাল সারা দিন তাঁর চিকিৎসা চলে। অপহরণের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাইছেন না। একই ভাবে মুক্তিপণ নিয়ে নীরব তাঁর বাড়ির লোকও। ভরসন্ধেয় তারাপুরের মতো জায়গায় অপহরণের ঘটনায় শিলচরের মানুষ উদ্বিগ্ন। এর পেছনে পুরনো শত্রুতা বা অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে কি না, তা দেখার দাবি উঠেছে। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘তদন্তের পর সব স্পষ্ট হবে।’’