গুলমার্গের পাহাড়ে স্ত্রী মনীষা আর দুই কন্যাকে বেড়াতে নিয়ে এসে নিজের অনুভূতি বন্ধুদের জানিয়েছিলেন জয়ন্ত আন্দ্রাসকর। ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘‘ফিলিং পিসফুল উইথ মনীষা।’’ কিন্তু তার পরেই চরম বিপর্যয় নেমে আসে দিল্লির শালিমার বাগ থেকে আসা পরিবারটির উপর। প্রবল হাওয়ার মধ্যে রোপওয়ের উপর ভেঙে পড়ে একটি গাছ। তাতেই তার ছিঁড়ে জয়ন্তদের কেবল কার গিয়ে পড়ে পাহাড়ের গভীর খাদে। রবিবার কাশ্মীরের গুলমার্গে এই দুর্ঘটনায় মৃত সাত জন। এর মধ্যে রয়েছে দুই শিশু কন্যা সহ জয়ন্তের গোটা পরিবারটিই।
গুলমার্গে রোপওয়ে চালু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। প্রায় চোদ্দ হাজার ফুট উচু পাহাড়ের উপর এই পরিষেবা শুরু থেকেই জনপ্রিয়। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ছ’শো মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয় রোপওয়ের মাধ্যমে। কিন্তু এমন দুর্ঘটনা কখনও ঘটেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সারাদিন আজ ছিল প্রবল হাওয়া। তাতেই গাছ ভেঙে পড়ে দু’টি টাওয়ারের মধ্যে থাকা তারে। তার ছিঁড়ে খাদে পড়ে একটি কেবল কার।
দুর্ঘটনার জেরে রোপওয়ে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন মাঝপথেই আটকে আরও ১৫টি কেবল কার। যেগুলিতে সওয়ার পর্যটকরা। পুলিশ জানিয়েছে, যাত্রীদের উদ্ধার করে রোপওয়ে পরিষেবা ফের চালু করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় দিল্লির পরিবারটি ছাড়াও এক জন পর্যটন গাইড ও উপত্যকার তিন জন বাসিন্দা প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রবল হাওয়ায় কেন রোপওয়ে চালু রাখা হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা। টুইটারে তিনি লিখেছেন, হাওয়ার জন্য আগাম সতর্কতা দেখানোর প্রয়োজন ছিল।