রোটোম্যাক কর্তা বিক্রম কোঠারি। —ফাইল চিত্র।
গ্রেফতার নয়, আটক নয়। চলছে টানা জেরা।
বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ৩৬৯৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করার জন্য কলম প্রস্তুতকারক সংস্থা রোটোম্যাকের কর্ণধার বিক্রম কোঠারিকে টানা জিজ্ঞাসাসাবাদ করে চলছেন সিবিআই। তাঁকে বাড়ির বাইরে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। কোঠারির আইনজীবীদের অভিযোগ, রোটোম্যাক কর্তাকে আটক করেছে সিবিআই। যদিও তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তারা কলম-কর্তাকে গ্রেফতার বা আটক করেননি। এরই মধ্যে ইডি সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরগুলিকে সতর্ক করেছে যাতে বিক্রম কোঠারি ও তাঁর পরিবারের দুই সদস্য দেশ ছাড়তে না পারে। কানপুর, উন্নাও-সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় আজ তল্লাশিও চালিয়েছে ইডি। শীঘ্রই তারা রোটোম্যাক কর্তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চলেছে বলে খবর। রোটোম্যাকের সম্পত্তি ঠিক কত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নীরব মোদীর মতো বিক্রম কোঠারিও দেশ ছেড়েছেন বলে গুজব ছড়িয়েছিল। কিন্তু রোটোম্যাক কর্তা দু’দিন আগেই বিবৃতি দিয়ে জানান, দেশ ছাড়েননি তিনি। এর পরে সোমবারই কানপুরে কোঠারির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। কোঠারির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন ভুয়ো কোম্পানি গঠন করে সাতটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করেননি তিনি। জাল নথি দিয়েছেন। ঋণের টাকা ব্যবহার করেছেন অন্য খাতে।
তদন্তকারীদের দাবি, ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ২৯১৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন রোটোম্যাক কর্তা। ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ৭৫৪ কোটি, ব্যাঙ্ক অব বরোদা ৪৫৭ কোটি, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক ৭৭১ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক ৪৫৯ কোটি, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক ৩৩০ কোটি, ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র ৫০ কোটি, ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স প্রায় ৯৭ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে তাঁকে। আসলের সঙ্গে জুড়েছে সুদের অঙ্কও।
আরও পড়ুন: নীরব মামলায় ধৃত মুকেশের খুড়তুতো ভাই
কোঠারিকে জালে ফেলতে নেমেছে আয়কর দফতরও। তাঁর ১৪টি অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে তারা। এর ১১টি অ্যাকাউন্ট রোটোম্যাকের, ৩টি কোঠারি পরিবারের। অভিযোগ, ৮৫ কোটি টাকা আয়কর দেননি রোটোম্যাক কর্তা। বকেয়া উদ্ধারেই অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত।