বিধি বাম, তবু তেরঙা তুলতে কেরলে ভাগবত

এ বারও তিনি যাচ্ছেন পালাক্কাড়ে। কিন্তু কেরলের সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, স্কুল বা কোনও সরকারি দফতরে শুধু সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানেরাই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন। সঙ্গে বাজবে জাতীয় সঙ্গীত। কারও কারও মতে, সঙ্ঘপ্রধানকে আটকাতেই এমন নির্দেশিকা। যদিও বাম সরকার তা মানছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৩৫
Share:

মোহন ভাগবত। —ফাইল চিত্র।

কেরলে শাসক বামফ্রন্টের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের দ্বন্দ্ব এখন তুঙ্গে। প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচিকে ঘিরেও সংঘাত বাধল সে রাজ্যের বাম সরকার এবং আরএসএসের।

Advertisement

গত বছর কেরলের পালাক্কাড়ে সরকারি অনুমোদিত একটি স্কুলে প্রজাতন্ত্র দিবসে তেরঙা পতাকা তুলেছিলেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। এ বারও তিনি যাচ্ছেন পালাক্কাড়ে। কিন্তু কেরলের সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, স্কুল বা কোনও সরকারি দফতরে শুধু সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানেরাই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন। সঙ্গে বাজবে জাতীয় সঙ্গীত। কারও কারও মতে, সঙ্ঘপ্রধানকে আটকাতেই এমন নির্দেশিকা। যদিও বাম সরকার তা মানছে না।

রাজ্যের মন্ত্রী এবং কেরল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কে সুরেন্দ্রনের যুক্তি, এটা একেবারেই রুটিন নির্দেশিকা। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের যা সাধারণ বিধি, সেটাই সরকারি ভাবে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, আরএসএসের কাছে তাঁরা দেশপ্রেম শিখবেন না! তাই প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁদের প্রমাণ করারও কিছু নেই। যদিও রাজ্যের বিজেপি নেতারা বলছেন, গত বার ভাগবত পতাকা তোলার সময়ে ‘বন্দেমাতরম’ বাজানো হয়েছিল। এ বার তাই জাতীয় সঙ্গীতের ফরমান।

Advertisement

আরএসএস সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, পালাক্কা়ড়ে এ বারও ভাগবত জাতীয় পতাকা তুলতেই পারেন। যে স্কুলে তাঁর অনুষ্ঠান হবে, সেটি আরএসএসেরই সংগঠন ‘বিদ্যাভারতী’র পরিচালনাধীন। সরকারি নিয়ম তাই সেখানে বাধ্যতামূলক নয় বলেই সঙ্ঘ সূত্রের দাবি। পালাক্কাড়ের ওই স্কুল প্রাঙ্গণেই আজ, শুক্রবার থেকে তিন দিনের শিবির চলবে আরএসএসের। রাজ্যে সঙ্ঘের কাজকর্মের পর্যালোচনা করবেন ভাগবত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement