আইআইটি হিন্দু-বিরোধী, অভিযোগ আরএসএসের

এফটিআইআই-এ গজেন্দ্র চৌহান এর নিয়োগ নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা হিন্দু-বিরোধী— এমনটাই দাবি করা হয়েছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’-এ। এ বার তাদের আক্রমণের লক্ষ্য আইআইটি-র মতো প্রতিষ্ঠানগুলিও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৫ ০২:৫৮
Share:

এফটিআইআই-এ গজেন্দ্র চৌহান এর নিয়োগ নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা হিন্দু-বিরোধী— এমনটাই দাবি করা হয়েছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’-এ।

Advertisement

এ বার তাদের আক্রমণের লক্ষ্য আইআইটি-র মতো প্রতিষ্ঠানগুলিও। আরএসএসের মুখপত্রে অভিযোগ, ভারত-বিরোধী এবং হিন্দু মতাদর্শ-বিরোধী জায়গায় পরিণত হচ্ছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। ওই লেখায় বলা হয়েছে, শুধু আইআইটি নয়, কিছু আইআইএম-ও অনেক ক্ষেত্রে সরকারি পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে। আর তার পিছনে বাম দলগুলি এবং কংগ্রেসের মদত রয়েছে।

তবে শিক্ষায় গৈরিকীকরণের প্রশ্নে বিতর্ক ঘনিয়েছে দিল্লি আইআইটি-র একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে। গত জানুয়ারি মাসে আরএসএস-ঘনিষ্ঠ রামদেবকে দিল্লি আইআইটি-তে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আইআইটি-র গ্রামোন্নয়ন সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে। আইআইটি কর্তৃপক্ষ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, উঠেছে সেই প্রশ্ন। দিল্লি আইআইটি বিষয়টিকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করলেও বিতর্ক থামছে না।

Advertisement

কংগ্রেস ও বামদলগুলি নানা প্রতিষ্ঠানে বোর্ড অব গভর্নর ও অধিকর্তাদের মাধ্যমে মতাদর্শগত দিক থেকে নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করছে বলে আরএসএস মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’-এ দাবি। নানা প্রসঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সমালোচনা করায় আইআইটি বম্বের বোর্ড অব গভর্নরসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও পরমাণু বিজ্ঞানী অনিলকাকোদকর ও আমদাবাদ আইআইএম চেয়ারম্যান এ এম নায়েকের বিরুদ্ধেও এক হাত নিয়েছে এই পত্রিকা।

ইউপিএ আমলে হরিদ্বারের মতো ‘পবিত্র শহরে’ রুরকি আইআইটি-তে কেন আমিষ খাবার দেওয়া হচ্ছে,তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে এই পত্রিকা। একই ভাবে রৌরকেলার এনআইটি-তে পুজোপাঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়পূর্বতন সরকারের আমলে। এ সবউদাহরণ তুলে আরএসএসের দাবি, সরকার পোষিত প্রতিষ্ঠানগুলিতে এ ভাবেই ভারত-বিরোধী এবং হিন্দু-বিরোধী কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে।

আরএসএসের আরও অভিযোগ, আইআইটি-তে অধিকর্তা নিয়োগ নিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি গুরুত্ব দেননি বলে আঙুল তুলেছিলেন কাকোদকর। অথচ বম্বে আইআইটি-তে ‘কিস অব লাভ’ কর্মসূচি একটি শব্দও শোনা যায়নি। নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শ ছড়িয়ে দিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার জন্য হিন্দুত্ববাদী এই সংগঠন বহু দিন ধরেই কেন্দ্রের কাছে সওয়াল করছে। যে কারণে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রস্তাবিত একটি বিলের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু আইআইএম-কে। বিলটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায়সরকারের হাতে অগাধ ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন