ভোজ: আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠকের ফাঁকে আহার সারছেন অমিত শাহ। শনিবার নাগপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক পদে চতুর্থ বারের মতো নির্বাচিত হলেন সুরেশ (ভাইয়াজি) জোশী। শনিবার নাগপুরে আরএসএসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। আগামী তিন বছরের জন্য ভাইয়াজি সঙ্ঘের সাংগঠনিক কাজকর্ম পরিচালনা করবেন।
এ বার আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন কেউ আসতে পারেন বলে গুঞ্জন ছিল। তিন সহ-সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসবোলে, কৃষ্ণগোপাল ও ভাগাইয়ার মধ্যে কেউ এক জন সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন বলে চর্চা শুরু হয়। কারণ, আরএসএস কম বয়সিদের নেতৃত্বে তুলে আনার প্রক্রিয়া চালু করেছে। সেই হিসাবে বিজেপি থেকেও লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলীমনোহর জোশীদের মতো বয়স্ক নেতাদের মার্গদর্শক মণ্ডলীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ধারা বজায় রেখে সঙ্ঘেও নতুন নেতৃত্ব তুলে আনার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুরেশ জোশীকেই রেখে দিল আরএসএস। তিনি বয়সে সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতের চেয়েও বড়। সঙ্ঘের এক মুখপাত্র জানান, সারা দেশের ৬৫৪ জন প্রতিনিধি সর্বসম্মত ভাবে ভাইয়াজিকেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চেয়েছেন।
সঙ্ঘের দাবি, ২০১৬তে সারা দেশে যেখানে ৫৬৫৬৯টি শাখা চলত। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৫৮৯৬৭। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকারে আসার পরে গড়ে বছরে ৫ হাজারের বেশি শাখা বেড়েছিল। কিন্তু গত দু’বছর শাখার সংখ্যা বৃদ্ধির হার এক-দেড় হাজারের বেশি নয়। অনেকের মতে, দেশে বিজেপি-বিরোধী যে পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তার প্রভাব সঙ্ঘের শাখা বৃদ্ধির হারের সঙ্গেই তুলনীয়। যদিও সঙ্ঘের মুখপাত্র জানান, দেশে ৬০ হাজার শাখা-সংখ্যা এ বছরেই ছুঁয়ে ফেলা যাবে। এ বার সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনে সমাজে বিভাজনের রাজনীতির নিন্দা করেছে আরএসএস। নানা প্রান্তে মাঝেমধ্যেই দলিত, তফসিলি জাতি, উপজাতি, কৃষক বিক্ষোভ দানা বাঁধছে। সঙ্ঘ এতে উদ্বিগ্ন। প্রতিবাদ অনেক সময়ই ধ্বংসাত্মক আকার নিচ্ছে বলেও মনে করছে আরএসএস। এই ধরনের ‘শক্তি’ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার।