(বাঁ দিকে) ভ্লাদিমির পুতিন এবং নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সব কিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে চলতি বছরের শেষেই ভারতে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার রাশিয়ার তরফে তেমনটাই জানানো হয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষে ভারতে আসার পরিকল্পনা রয়েছে পুতিনের। সেই সফরের জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এই সফর সফল হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন পেসকভ।
এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভারতে এসেছিলেন পুতিন। সে অর্থে ২০২২ সালে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম ভারত সফরে আসছেন তিনি। এই সফরে পুতিন কী বার্তা দেন, সে দিকে নজর থাকবে গোটা বিশ্বের। পুতিনের ভারত সফরে নয়াদিল্লি এবং রাশিয়ার মধ্যে নতুন কোনও বিষয়ে বোঝাপড়া বা চুক্তি হবে কি না, তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে। তবে এই বিষয়ে সবিস্তার কিছু জানাতে চাননি রুশ মুখপাত্র।
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে পেসকভ বলেন, “আমরা এখন পুতিনের ভারত সফরের জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি নিচ্ছি। চলতি বছরের শেষেই তা (পুতিনের ভারত সফর) হওয়ার কথা। আমাদের বিশ্বাস, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সফর হতে চলেছে।” ‘জোরকদমে প্রস্তুতি’ বলতে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার কথাই তিনি বলতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়া ভারতের দীর্ঘ দিনের বিশ্বস্ত বন্ধু। সামরিক, পরিকাঠামো, জ্বালানি-সহ একাধিক বিষয়ে নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করার জন্যই ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ (মোট ৫০ শতাংশ) শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে মরিয়া ট্রাম্প মনে করেন তেল বিক্রির টাকা যুদ্ধক্ষেত্রে কাজে লাগাচ্ছে পুতিনের রাশিয়া। সম্প্রতি ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর কথায় রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে ভারত। এই আবহে পুতিনের ভারত সফরে আসাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।