নাগপুর থেকে পান্ধারকৌড়া (এই মরাঠি শব্দের বাংলা অর্থ সাদা তুলো) হয়ে জঙ্গল আর রুখু পথ উজিয়ে ডাভড়ি গ্রামে আসতে গেলে পেরোতে হয় প্রায় ২৩০ কিলোমিটার।২০১৪-র ২০ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী-পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী এই গ্রামেই ‘চায়ে পে চর্চা’ করে যান।গ্রামের মাঠের সেই‘চর্চা’য় মোদী বলেছিলেন, কাউকে পিছিয়ে রাখব না। সকলকে নিয়ে একসঙ্গে এগনো হবে। কৃষিপণ্যের সহায়ক মূল্য দ্বিগুণ করা হবে। উন্নয়ন হবে।
ডাভড়ি গ্রামের অবস্থান যবতমাল জেলায় হলেও এটি মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এখানকার বিদায়ী সাংসদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির। বিজেপির এই হেভিওয়েট প্রার্থী ২০১৪-য় চতুর্থ বারের জন্য লোকসভায় মনোনীত হন। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেস এই কেন্দ্রে একেবারে শেষ মুহূর্তে দাঁড় করিয়েছে সুরেশ ধানোরকরকে। সুরেশ এর আগে শিবসেনার বিধায়ক ছিলেন। কয়েক দিন আগে তিনি শিবসেনা ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন।
২০১৪-র ২০ মার্চই কিন্তু ‘চায়ে পে চর্চা’ শেষ হয়ে যায়নি। বরং শুরু হয়েছিল সে দিন থেকে! এখন গ্রামের আমআদমিই ‘চায়ে পে চর্চা’ করেন। কিন্তু তার বিষয়বস্তু পাল্টে গিয়েছে!সেই ‘চর্চা’য় এখন বিশ্বাসহীনতা আর প্রতারণার অভিযোগের চর্চা হয় বেশি!