ছবি: সংগৃহীত।
দূরদূরান্ত থেকে ট্রেন এসে দাঁড়ায় এখানে। স্টেশনে নেমে হাঁকডাক শুরু করেন যাত্রীরা— ‘কুলি কুলি’। ছুটে আসেন লাল জামা পরা ৩৬ নম্বর। চেহারা ছোটোখাটো, ছিপছিপে। তবে মালপত্র তুলতে আর পাঁচজন মালবাহকের মতোই দক্ষ বছর তিরিশের মেয়েটি।
মধ্যপ্রদেশের কাটনি স্টেশনের পরিচিত মুখ সন্ধ্যা মরাবী দেশের রেলস্টেশনে প্রথম মহিলা মালবাহক। খোদ রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল টুইট করেছেন তাঁর কাহিনি।
জবলপুরের কুন্দম গ্রামের বাসিন্দা সন্ধ্যার স্বামী মারা যান বছর দু’য়েক আগে। পরিবারে স্বামীই ছিলেন একমাত্র রোজগেরে। ফলে সংসার সামলাতে মালবাহকের কাজ শুরু করেন তিন সন্তানের মা সন্ধ্যা।
আরও পড়ুন: বাংলাতেও পরীক্ষা হবে রেলে, শিথিল হল যোগ্যতাও
প্রতিদিন বাড়ি থেকে ২৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কাটনি স্টেশনে আসেন সন্ধ্যা। গ্রাম থেকে প্রথমে জবলপুর। সেখান থেকে কাটনি স্টেশন। দিনভর সেখানে বাকি ৩৯ জন মালবাহকের মতোই হাড়ভাঙা খাটুনি। দিনের শেষে ফিরে গিয়ে ঘরের সমস্ত কাজ। কাটনি থেকে জবলপুর স্টেশনে বদলি চেয়ে রেল মন্ত্রকে অনেক বার আবেদন জানিয়েছেন সন্ধ্যা। তবে এখনও পর্যন্ত জবাব মেলেনি।
বাড়িতে আট বছরের ছেলে সাহিল, ছ’বছরের হর্ষিত আর চার বছরের মেয়ে পায়েল ছাড়াও রয়েছেন বৃদ্ধা শাশুড়ি। এক সময় রোজ খাবার জুটত না। এখন সন্ধ্যা স্বপ্ন দেখেন। বলেন, ‘‘বাধ্য হয়েই কাঁধে ওজন তুলেছিলাম। এখন আর আক্ষেপ নেই। ছেলেমেয়েগুলো পড়াশুনো শিখে মানুষের মতো মানুষ হোক।’’