সওয়াল: স্মার্টফোন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশ্নের মুখে আদিবাসী তরুণী। পাশে মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। বৃহস্পতিবার সাহেবগঞ্জে। ছবি: চন্দন পাল।
স্মার্টফোন নিয়ে তখন একের পর এক প্রশ্ন করছেন প্রধানমন্ত্রী। ‘ডাউনলোড’ কাকে বলে? ‘অ্যাপ’ কী? সাহেবগঞ্জে গঙ্গা সেতুর শিলান্যাসের মঞ্চে সেই সময় নরেন্দ্র মোদীর সামনে সাঁওতাল পরগনার আদিবাসী তরুণী উর্মিলা সোরেন, সুনীতা কাচ্ছপ, মীনাদেবী।
কী উত্তর দিলেন তাঁরা? বক্তৃতার শুরুতে সে কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বললেন, ‘‘ওই ফোন গ্রামের মহিলারা ব্যবহার করতে পারেন কি না, তা জানতে চেয়েছিলাম। দেখলাম, ওঁরা অনেক কিছু জানেন। সব প্রশ্নের জবাব দিলেন। সবাই সত্যিই স্মার্ট।’’
প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর করতে জেলায় জেলায় ‘সখী বাহিনী’ গড়ছে ঝাড়খণ্ড সরকার। সেই বাহিনীর সদস্যদের জন্য ১ লক্ষ স্মার্টফোন বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গঙ্গা সেতুর শিলান্যাসের পাশাপাশি আজ সেই প্রকল্পেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যে সেই রেশ টেনে মোদী জানান, এক দিকে দেশ যত ‘ডিজিটাল’ হচ্ছে, তত কমছে দুর্নীতি। তিনি বলেন, ‘‘প্রয়োজনে নোট-বাতিলের মতো কড়া সিদ্ধান্ত ফের নিতে দ্বিধা করব না।’’ এ দিন সাহেবগঞ্জ থেকে বিহারের মণিহারির মধ্যে গঙ্গা সেতুর শিলান্যাস করেন মোদী। তিনি জানান— এই সেতু শুধু বিহার ও ঝাড়খণ্ডকে উন্নয়নের দিশা দেখাবে না, উত্তর-পূর্ব ভারত, উত্তরবঙ্গ, নেপাল, বাংলাদেশেও তার সুফল পৌঁছে দেবে। সাহেবগঞ্জের গঙ্গায় ‘মাল্টি মডেল টার্মিনাল’-এরও শিলান্যাস করেন মোদী।
সভা শেষ হওয়ার পর ভিড়ের মধ্যে দেখা হয় কয়েক জন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে। স্মার্টফোন পেলে কী করবেন? এক মহিলার উত্তর, ‘‘ও সব কিছু বুঝি না। ছেলেকে দিয়ে দেব।’’ তাঁর পাশে দাঁড়ানো বছর পঁচিশের এক তরুণীর মন্তব্য, ‘‘গ্রামে সাধারণ ফোনেই লাইন মেলে না। কথা বলা যায় না ঠিকমতো। স্মার্টফোন তো ওখানে কাজই করবে না।’’
সওয়াল: স্মার্টফোন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশ্নের মুখে আদিবাসী তরুণী। পাশে মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। বৃহস্পতিবার সাহেবগঞ্জে। ছবি: চন্দন পাল।