National News

অন্তরাকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন, সন্তোষকেই ধরল পুলিশ

পরিবারের সন্দেহটাই শেষ পর্যন্ত মিলে গেল। পুণেতে বাঙালি ইঞ্জিনিয়র অন্তরা দাসের খুনের ঘটনায় তাঁর পরিচিত যুবক সন্তোষ কুমারকে বুধবার গভীর রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাতেই শেষমেশ অন্তরাকে খুনের পথ বেছে নিয়েছিলেন সন্তোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৭:১৬
Share:

পরিবারের সন্দেহটাই শেষ পর্যন্ত মিলে গেল। পুণেতে বাঙালি ইঞ্জিনিয়র অন্তরা দাসের খুনের ঘটনায় তাঁর পরিচিত যুবক সন্তোষ কুমারকে বুধবার গভীর রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাতেই শেষমেশ অন্তরাকে খুনের পথ বেছে নিয়েছিলেন সন্তোষ। তবে নিজের হাতে অন্তরাকে মারেননি তিনি। এ কাজে কোনও ভাড়াটে খুনিকে নিয়োগ করেছিলেন সন্তোষ। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, আততায়ী পরিচয়ও মিলেছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থেই তা সামনে আনা হচ্ছে না।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, সন্তোষকে জেরাপর্বের শুরু থেকেই তাঁর কথায় অসঙ্গতি মিলছিল। শুক্রবার যে সে বেঙ্গালুরুতে ছিল তার প্রমাণ হিসেবে সিসিটিভি ফুটেজও সঙ্গে এনেছিলেন সন্তোষ। এ সব দেখেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, ‘‘দফায় দফায় জেরার পরে এক সময় মনে হয়, সন্তোষ যেন জানত যে তাঁকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য তাই সব হাতিয়ার আগেই গুছিয়ে রেখেছিল সে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে খুনের অকুস্থলেও নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। রাতে ডেহু রোড থানায় এনে চাপ দিতেই কিছুটা ভেঙে পড়ে সে। এই খুনে যে সে জড়িত, তা-ও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল তদন্তকারীদের কাছে।

বেহালা সরশুনার বাসিন্দা অন্তরা দাস (২৩) পৈলানের একটি কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বেঙ্গালুরু যান। সেখানে তথ্যপ্রযুক্তির প্রশিক্ষণ শেষ করে মাস ছয়েক আগে একটি বহুজাতিক সংস্থার পুণে অফিসে যোগ দেন। ২৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তালবাড়ের অফিসের অদূরে এক আততায়ী তাঁর গলায় ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দেয়। এক মোটরবাইক-আরোহী তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মারা যান তিনি।

Advertisement

অন্তরার পরিবার পুলিশকে জানিয়েছিল, বেঙ্গালুরুতে থাকার সময়ই সন্তোষ অন্তরাকে উত্যক্ত করত। পুণে চলে আসার পরেও অন্তরার পিছু ছাড়েনি সে। খুনের পর অভিযোগে সন্তোষকে মূল সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন অন্তরার বাবা দেবানন্দ দাস। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরে প্রাথমিক কিছু বিষয় খতিয়ে দেখে বেঙ্গালুরু যায় পুণে পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে সোমবার গভীর রাতে পুণে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। তখন থেকেই দফায় দফায় জেরা চলছিল। সন্তোষ গ্রেফতার হওয়ার পরে এ দিন অন্তরার জেঠু পঞ্চানন দাস বলেন, ‘‘আমাদের মেয়ে তো চলেই গিয়েছে। তবু ওর যেন কঠোরতম শাস্তি হয়।’’ একই সঙ্গে ভাড়াটে খুনিকেও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে অন্তরার পরিবার।

আরও পড়ুন: অন্তরার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল, তবে খুন করিনি, দাবি সন্তোষের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন