ছ’মাসের মধ্যে গৌতমকে ছেড়ে দিয়ে শুরু রাম-স্তুতি

এ যেন ২০১৬ সালের নির্বাচনের মহড়া! মাত্র মাস ছয়েক আগেই যে ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা গৌতম রায়ের মাথায় পাগড়ি পরিয়ে দিয়েছিলেন, শুক্রবার সেই সানু মালাকারই বিজেপির মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাম-স্তুতি পরিবেশন করলেন। স্তুতি করলেন বিজেপির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৫ ০৩:১৮
Share:

এ যেন ২০১৬ সালের নির্বাচনের মহড়া!

Advertisement

মাত্র মাস ছয়েক আগেই যে ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা গৌতম রায়ের মাথায় পাগড়ি পরিয়ে দিয়েছিলেন, শুক্রবার সেই সানু মালাকারই বিজেপির মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাম-স্তুতি পরিবেশন করলেন। স্তুতি করলেন বিজেপির।

গৌতম রায়ের মাথায় পাগড়ি পরিয়ে এই মালাকারই বলেছিলেন, ‘‘বরাকে তিনিই নাকি একমাত্র নেতা, যিনি দু’হাত ভরে দান করেন। আর দান করেন নিঃস্বার্থ ভাবে।’’ আর সেই ব্যক্তিই কিনা ছমাস আগের
বক্তব্য ভুলে করিমগঞ্জ শহরের নবনির্বাচিত বিজেপি পুরসদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রামের স্তুতি-সহ বিজেপির জয়গান গাইলেন। আসলে শুক্রবারের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জেলা বিজেপি দেখিয়ে দিতে চেয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পালে হাওয়া উঠছে। কংগ্রেস নেতার হয়ে যাঁরা এতদিন বড় বড় বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন, আজ তাঁরাই বিজেপির পক্ষে রাম-স্তুতি পরিবেশন করছেন।

Advertisement

করিমগঞ্জ বিজেপির পুরসদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, শিলচরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপকুমার পালের উপস্থিতিতে বিভিন্ন বক্তা আজ বক্তব্য রাখেন। বক্তাদের কথায় সুর একতানেই বাঁধা ছিল। তাঁদের কথায়, ৬০ বছর দেশের শাসন ক্ষমতায় কংগ্রেসই দুর্নীতির স্রষ্ঠা। আজকাল সেই কংগ্রেসই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। শিলচরের বিজেপি বিধায়ক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘‘অসমে তরুণ গগৈ সরকারের বিদায়ঘণ্টা বাজছে। কংগ্রেস সরকার ২০ হাজার কোটি টাকা খরচের কোনও হিসেব দিতে পারেনি। যে সরকার টাকা খরচের হিসেব দিতে পারছে না সেই সরকারের আর এক মুহূর্তও গদিতে থাকার অধিকার নেই।’’ অসমের কংগ্রেস সরকারকে দেউলিয়া আখ্যা দিয়ে বিধায়ক বলেন, ‘‘২৪ মে কংগ্রেস সরকারের চতুর্থতম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানই হবে এ রাজ্যে তাদের অন্তিম অনুষ্ঠান। সরকার জনগণকে সুযোগ-সুবিধা দিতে পারছে না, আর গুয়াহাটিতে খালি মাঠের মধ্যে এসি (বাতানুকুল) ব্যবহার করছে।

একই ভাবে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ রাহুল গাঁধীর কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘‘মোদি সরকার কর্পোরেট সেক্টরের সহায়ক হলে কয়লার ব্লক বণ্টনে স্বচ্ছতা দেখাত না।’’ বিজেপি নেতার মতে, রাহুল গাঁধী আসলে রাজনীতিতে একেবারেই দক্ষ নন। করিমগঞ্জ পুরসভার বিজেপির ১০ জন পুরসদস্যকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন ছাড়াও এদিন বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement