আগের সরকারের আমলে ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যবহারিক শংসাপত্র বা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট (ইউসি) জমা না পড়ায় আটকে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় বরাদ্দ। থমকে গিয়েছিল বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ। এই অবস্থা যাতে ফের তৈরি না হয়, তার জন্য সব বিভাগকে সতর্ক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।
দিসপুরে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির পর্যালোচনা করতে গিয়ে সব বিভাগের প্রধানকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সব প্রকল্পের ইউসি সময় মতো জমা দিতে হবে। তার সুফল মিলবে। প্রকল্প বরাদ্দের জন্য কেন্দ্রে আবেদন করলেই টাকা মিলবে। পাশাপাশি, রাজ্যে উৎপাদিত বিভিন্ন সামগ্রীর চাহিদা বাজারে কেমন—তা নিয়ম করে সমীক্ষা করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষি বিভাগকে উৎপাদনবৃদ্ধির জন্য ভিশন ডকুমেন্টও তৈরি করতে বলা হয়েছে। বীজ বিতরণ পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা আনার উপরেও তিনি জোর দেন।
মু্খ্যমন্ত্রী বন্যায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ দ্রুত মেরামতির নির্দেশ দেন। জানান, পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র মিলতে দেরি হওয়ায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে। বন দফতরকে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে দ্রুত সেই জট ছাড়াতে বলেন সোনোয়াল। প্রতি ১৫ দিনে বন কর্তাদের এ নিয়ে বৈঠকে বসার অনুরোধ জানান তিনি। জলসম্পদ ও রাজস্ব বিভাগকেও বকেয়া কাজ মেটাতে ১৫ দিন অন্তর বৈঠক করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্য দিকে, অসম পুলিশে খালি থাকা ৯,৩৪৪ টি শূন্যপদ শীঘ্রই পূরণের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এ নিয়ে মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র কমিশনারকে নির্দেশ দেন। ৪৩৩১টি পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খালি থাকা ১০,৩৩৬টি স্থায়ী পদে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষক নিযুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তার মধ্যে ৪৫৫৪টি পদ উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও ৫৭৮২টি পদ নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।