সুনন্দা-পুষ্কর মৃত্যু-রহস্য নিয়ে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হল শশী তারুরকে। শনিবার দক্ষিণ দিল্লির বসন্ত বিহার থানায় ঘণ্টা পাঁচেক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতাকে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) জানিয়েছে, প্রয়োজনে আবারও সমন পাঠানো হবে তারুরকে।
গত বছর এই সময়টাতেই স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে তিন তিন দফা জেরায় জেরবার হয়েছিলেন তারুর। সে বার অবশ্য তদন্তটা এগোচ্ছিল হত্যার তত্ত্ব ঘিরে। তবে এ বারের জেরার উদ্দেশ্যটা ছিল অন্য রকম। সিট-এরই একটি সূত্র জানাচ্ছে, সুনন্দাকে কোনও ভাবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল কি না, শনিবার সেটাই বারবার জানতে চাওয়া হয়েছে কংগ্রেস নেতার কাছে। পুলিশ কমিশনার বি এস বাস্সি বলেছেন, ‘‘জোর গলায় বলছি, আমরা ঠিক দিকে এগোচ্ছি। সিট খুব ভাল কাজ করছে।’’ মামলা কেন ধীরে এগোচ্ছে, সে বিষয়ে একাধিক কারণও দেখিয়েছেন তিনি।
শনিবারের জেরা প্রসঙ্গে বাস্সি জানিয়েছেন, তারুরের থেকে যা যা জানার ছিল, মোটামুটি তার সবটাই জানা হয়ে গিয়েছে। তবে সিট যদি মনে করে, ফের ডেকে পাঠানো হবে তারুরকে। পুলিশ কমিশনার বলেছেন, মামলাটিকে তাড়াতাড়ি আইনি পরিণতি দেওয়ার সব রকম চেষ্টাই করছে দিল্লি পুলিশ।
ভিসেরা এবং অন্যান্য নমুনা পরীক্ষা করে এইমস-এর মেডিক্যাল বোর্ড সম্প্রতি সুনন্দার পাকস্থলীতে অতিরক্তি মাদক থাকার কথা জানায়। সেই মাদকের কারণেই সুনন্দার মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করে তারা। এইমস-এর রিপোর্টের ভিত্তিতেই বিষক্রিয়ায় সুনন্দার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে জানায় এফবিআই। এইমসের রিপোর্ট সামনে আসার পরেই তারুরকে নতুন করে জেরার পরিকল্পনা করে ফেলে সিট। সুনন্দার পেটে মাদক কোথা থেকে এল, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তা নিয়েই গত কাল জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কংগ্রেস নেতাকে। প্রশ্ন করা হয়েছে সুনন্দার দেহে মেলা আঘাতের চিহ্ন নিয়েও। বাদ যায়নি দুর্ঘটনার আগের দিন দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার প্রসঙ্গও।
তারুর অবশ্য নিজের অবস্থানেই অটল। ‘‘স্ত্রী-র মৃত্যু নিয়ে মিথ্যে বলিনি,’’ এখনও এই দাবিই করে যাচ্ছেন। সুনন্দার ভিসেরা পরীক্ষা নিয়ে আরও তথ্য চেয়ে ইতিমধ্যেই এইমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছে সিট। শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট দিতে
হবে এইমসকে।