দলীয় কর্মীদের সঙ্গে শশিকলা।-ছবি টুইটারের সৌজন্য।
কে বলল তিনি নেই! এই তো সেই ‘আম্মা’!
যাঁর জন্য পাগল হয়ে যেত, পাগল হয়ে যায় গোটা তামিলনাড়ুর মানুষ। যাঁকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসতেন তামিলনাড়ুর আমজনতা। সেই ‘আম্মা’, তামিলনাড়ুর সদ্যপ্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম জয়ললিতাই যেন ফিরে এসেছেন তাঁর দীর্ঘ দিনের বান্ধবী শশিকলা নটরাজনের মাধ্যমে। ‘আম্মা’ জয়ললিতা যে ভাবে হাত জোড় করে, তামিলনাড়ুর আমজনতাকে গ্রহণ করতেন কোনও বাছ-বিচার ছাড়াই, মিশে যেতেন তাঁর দল এআইএডিএমকে’র তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মধ্যে, শশিকলাও যেন তেমনটাই! একেবারে জয়ললিতার কায়দাতেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মিশতে শুরু করে দিয়েছেন শশিকলা। চেন্নাইয়ে পোয়েজ গার্ডেনে জয়ললিতার বাড়িতেই থাকতেন তাঁর দীর্ঘ দিনের বান্ধবী শশিকলা। ওই সময় জয়ললিতার সঙ্গে শশিকলাও হাত জোড় করে অভ্যর্থনা জানাতেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আসা দলীয় কর্মী আর আমজনতাকে। সেই আগেকার আর এখনকার বেশ কয়েকটি ছবি বুধবার তামিলনাড়ুর শাসক দল এআইএডিএমকে’র তরফে টুইট করা হয়েছে। একেবারে হালের যে সব ছবি টুইট করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রয়াত জয়ললিতার মতোই শশিকলার সামনে হাত জোড় করে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শুভ্র পোশাকের এআইএডিএমকে কর্মীরা। টুইট করা সেই ছবির সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘‘মাননীয়া আম্মার (জয়ললিতা) দেখানো পথে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য এআইএডিএমকে’র বিভিন্ন জেলার কর্মী, সমর্থকরা অনুরোধ জানিয়েছেন শশিকলাকে।’’
আরও পড়ুন- যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ইস্তফা কর্নাটকের মন্ত্রীর
আর সেখানে শশিকলাকে ‘চিন্নাম্মা’ (ছোট মা) বলে সম্বোধন করেছেন দলীয় কর্মী, সমর্থকরা। সদ্যপ্রয়াত জয়ললিতার স্থলাভিষিক্ত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পানিরসেলভান গত সপ্তাহেই বলেছিলেন, ‘‘আম্মার মতো চিন্নাম্মাও দলের প্রতিটি কর্মীকে নিজের নখের মতোই চেনেন। উনিই দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিলে দলের উপকার হবে সবচেয়ে বেশি।’’