Ladakh

পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনাঘাঁটি সরাচ্ছে চিন, বলছে নতুন উপগ্রহ চিত্র

লাদাখের এই বিতর্কিত অঞ্চল থেকে দু’পক্ষেরই সৈন্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৫ বার বৈঠকে বসেছিলেন ভারত এবং চিনের সেনা আধিকারিকরা। কিন্তু রফাসূত্র অধরাই ছিল।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:৪১
Share:

২০২১ সালের অগস্ট মাসের উপগ্রহ চিত্র এবং চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের উপগ্রহ চিত্র।

পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণ অঞ্চল থেকে সেনাঘাঁটি সরিয়ে নিচ্ছে চিন। প্রায় দু’বছর দখল করে থাকা এই অঞ্চল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ভিতরে সরে যাচ্ছে চিনের সেনা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালের পর এই অঞ্চলে চিন যে সব বৃহৎ নির্মাণকার্য চালাচ্ছিল, সেগুলোর অধিকাংশেরই আর কোনও অস্তিত্ব নেই।

Advertisement

লাদাখের এই বিতর্কিত অঞ্চল থেকে দু’পক্ষের সৈন্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৫ বার বৈঠকে বসেছিলেন ভারত এবং চিনের সেনা আধিকারিকরা। কিন্তু রফাসূত্র অধরাই ছিল। চলতি বছরের ১৭ জুলাই ফের বৈঠকে বসেন দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা। ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে ঠিক হয়, দুই দেশ ওই এলাকায় কোনও অস্থায়ী নির্মাণ করবে না এবং পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে চলবে। দু’পক্ষই ২০২০-র আগের অবস্থানে ফিরে যাবে বলেও স্থির হয় ওই বৈঠকে।

অবশ্য উপগ্রহ চিত্র থেকে এটা স্পষ্ট নয় যে, বাফার এলাকায় অর্থাৎ পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে যেখানে দুই দেশের সেনারাই হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকে, সেখানে চিন তাদের সৈন্যকে সরিয়েছে কি না। ২০২১ সালের অগস্ট মাসে দেখা গিয়েছিল, ভারতীয় সৈন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যেখানে টহল দিত, সেখানে সেনাঘাঁটি বানিয়েছে চিন। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বরের উপগ্রহ চিত্রে সেগুলোর কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

Advertisement

লাদাখের চুশুল অঞ্চলের কাউন্সিলর কঞ্চক স্ট্যানজিন এই প্রসঙ্গে জানান, এটা খুব বড় একটা পদক্ষেপ। চিনের ছেড়ে যাওয়া অঞ্চলটিই নতুন বাফার জোন হিসাবে ব্যবহৃত হবে এ বার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement