অবসরের অন্তত ছ’মাস বাকি থাকলে, তবে ডিজিপি বা এসপি-র মতো পুলিশের শীর্ষ পদগুলিতে পদে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করবে ইউপিএসসি। তবে বাছাই হবে পুরোপুরি দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের গত বছরের নির্দেশগুচ্ছের ব্যাখ্যায় এই কথা জানিয়েছে। বেঞ্চের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি এল এন রাও এবং সঞ্জীব খন্না।
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি প্রকাশ সিংহের করা জনস্বার্থ মামলার সূত্রে সুপ্রিম কোর্ট গত ৩ জুলাই একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করেছিল। তাতে বলা হয়, ডিজিপি বা এসপি পদে কাউকে নিয়োগ করা হলে সেই পদে তাঁর যেন অন্তত দু’বছর কাজের মেয়াদ থাকে। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে শীর্ষ আদালতে রায় পরিমার্জনের আর্জি জানান প্রকাশ সিংহ। শুনানিতে তাঁর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ যুক্তি দেন, দু’বছর কাজের মেয়াদ না-থাকার যুক্তিতে অনেক দক্ষ অফিসারের কথা বিবেচনায় রাখা হচ্ছে না। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি আটকে যাচ্ছে, বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু আর্জির বিরোধিতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল পাল্টা যুক্তি দেন, কোনও কোনও রাজ্য সরকার তার মর্জিমাফিক বা স্বজনপোষণের জন্য অবসরের দিনেও কাউকে ডিজিপি পদে বসাত। তাতে তিনি অবসরের বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরে আরও দু’বছর পদে বহাল থাকতেন।
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বেঞ্চ জানায়, গত বছরের রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে অবসরের আগে কার কত দিন কাজের মেয়াদ আছে সেই বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। আদালতের লক্ষ্য, শুধু যোগ্য ব্যক্তিকে যেন নিয়োগ করা হয়। এবং সেই নিয়োগ যেন হয় দু’বছরের জন্য। তাঁর কত দিন চাকরি আছে, অবসরের দিনে কাকে নিয়োগ করা হচ্ছে সেটা নিয়ে আদালত কিছু বলেনি। অর্থাৎ দু’বছর কাজের মেয়াদ না-থাকলে তাঁকে প্যানেলের জন্য বিবেচনা করা যাবে না, এমন নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, সময় থাকতে রাজ্য সরকার তার চাহিদা জানাবে। অন্তত ৬ মাস কাজের মেয়াদ আছে এমন অফিসারদের মধ্য থেকে শুধু মাত্র যোগ্যতার ভিত্তিতে প্যানেল তৈরি করবে।