জেন সদাবার্তে। ছবি: সংগৃহীত
আগুন লাগলে কী করতে হবে, তা নিয়ে কিছুটা পড়াশোনা ছিল। আর স্কুলের শিক্ষকদের পরামর্শ। এই দুই কৌশল প্রয়োগ করেই মুম্বইয়ের বহুতলে আগুন লেগে আটকে পড়া বেশ কয়েকজনকে কার্যত বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করল এক স্কুলপড়ুয়া। গোটা এলাকায় এখন বীরাঙ্গনার মর্যাদা পাচ্ছে সেই ছাত্রীই।
বুধবার মুম্বইয়ের প্যারেল এলাকার বহুতল ‘ক্রিস্টাল টাওয়ার’-এ আগুন লাগে। ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও অন্তত ১৬ জন। আগুন লাগার পর নিজেদের ফ্ল্যাটে অন্যদের মতোই আটকে পড়েন জেন সদাবার্তে নামে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী। ছিলেন তাঁর মা-বাবাও। মা কাঁদতে শুরু করেন।
দমকল কর্মীরা নীচে থেকে সবাইকে নেমে আসতে বলছিলেন। কিন্তু জেন জানায় নীচে নামতে গেলে বিপদ হতে পারে। ছড়াতে পারে আতঙ্কও। মাথা ঠান্ডা রেখেছিল শুধু জেন। বাবা-মাকে আতঙ্কিত হতে নিষেধ করে। আর আশপাশের ফ্ল্যাটের লোকজনকেও সাবধান করে দেয়। কিন্তু ধোঁয়ায় অনেকেরই শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের বহুতলে ভয়াল আগুন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ৪
এই অবস্থায় জেন মাথা ঠান্ডা রেখেছিল জেন। প্রয়োগ করে স্কুলে শেখা পদ্ধতি। একটি বড় পরিষ্কার কাপড়ছিঁড়ে রুমালের মতো টুকরো করে ফেলে। এবার ওই টুকরোগুলি ভাঁজ করে ভিজিয়ে নেয়। এরপরই যাঁর নিশ্বাস নিতে সমস্যা হয়েছে, তাঁকেই সেটা দিয়েছে জেন। রুমালের মতো ওই কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে তার ভিতর দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে বলে সে। যাঁরা ধোঁয়ার মধ্যে তখনও আটকে ছিলেন তাঁদের আর শ্বাসকষ্ট হয়নি।
আরও পড়ুন: দু’টি বিজ্ঞাপনে এক মহিলার স্বামী ভিন্ন! বিড়ম্বনায় তেলঙ্গানা সরকার
এই রকম বিপর্যয়ের মধ্যেও মাথা ঠান্ডা রেখে যে কাজ করেছে জেন, তাতে আবাসন এবং আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের মুখে মুখে ফিরছে ছোট্ট এই স্কুল পড়ুয়ার নাম। আর জেনের বক্তব্য, ‘‘তৃতীয় শ্রেণিতে থাকার সময় আগুন লাগা এবং অন্যান্য বিপর্যয়ের বিষয়ে পড়েছিলাম। আর শিক্ষকরা বলেন, যে কোনও বিপদে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে। এই দুই কৌশল কাজে লাগিয়েই এমনটা করতে পেরেছি।’’
দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।