২০২০ সালের অলিম্পিকে দৌড় প্রতিযোগিতার অংশ নেওয়ার জন্য শিলচরে খেলোয়াড় বাছাই হল। আজ ৫০ জন গুয়াহাটি যাওয়ার ছাড়পত্র পেল। ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি জোনাল মিটে অংশ নেবে তারা।
এ ভাবেই বিভিন্ন জায়গায় প্রতিযোগিতার আয়োজনSeকরে ‘ইন্ডিয়ান স্পিডস্টার’ খোঁজার উদ্যোগ নিয়েছে গেইল ইন্ডিয়া লিমিটেড। তাদের পক্ষে দায়িত্ব সামলাচ্ছে ন্যাশনাল যুব কো-অপারেটিভ সোসাইটি (এনওয়াইসিএস)।
অসমের কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, ডিমা হাসাও ও কার্বি আংলং, ত্রিপুরার উনকোটি ও উত্তর ত্রিপুরা এবং মণিপুরের জিরিবাম মিলিয়ে মোট ৮ জেলার ১ হাজার ৮০০ কিশোর-কিশোরী এ দিন অলিম্পিকের স্বপ্নে শিলচরের ট্র্যাকে দৌড়য়।
এটি অবশ্য প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়কে বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া নয়। ১০০, ২০০ ও ৪০০ মিটার দৌড়নোর জন্য সর্বোচ্চ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে যারা সেই দূরত্ব অতিক্রম করতে পারছে, তারাই মনোনীত হয়। সেই নিরিখে আজ মোট ৩৩ জন ছেলে ও ১৭ জন মেয়েকে জোনাল মিটের জন্য বেছে নেওয়া হয়। তারা যাবে গুয়াহাটিতে। সেখানকার বাছাইদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে দৌড়বে তারা। চূড়ান্ত মনোনীতদেরই অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুত করা হবে বলে জানিয়েছেন এনওয়াইসিএস-এর নর্থ-ইস্ট ডিরেক্টর রঘুনাথ রেড্ডি।
আজ সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে শিলচর মিটের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক জিতু দাস। ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি বাদল দে, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোড়। রাজদীপ রায়, বিজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ-সহ গেরুয়া নেতাদেরই দিনভর মাঠে ছুটোছুটি করতে দেখা যায়। তবে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব। তিনি গুয়াহাটি মিটের জন্য মনোনীতদের শুভেচ্ছা জানান।
পরে সুস্মিতাদেবী বলেন, ‘‘প্রতিভা সন্ধানে অর্থ জোগাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা। পিছনে কারা সে সব দেখে লাভ নেই। খেলার জগতে ডান-বাম দেখার পক্ষপাতী নই।’’