Congress

বাজেট অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড ৭ কংগ্রেস সাংসদ, ক্ষোভ অধীরের

সাসপেন্ড করা হয়েছে কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ, টিএন প্রথাপন, দেনা কুরিয়াকোসে, মানিকাম টেগোর, রাজমোহন উন্নিথন এবং গুরমিত সিংহ আউজলা-কে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২০ ১৭:০৮
Share:

সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের সঙ্গে অধীর চৌধুরী। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

সংসদে অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে চলতি বাজেট অধিবেশন থেকে সাত কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিলেন অধ্যক্ষ। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। গত তিন দিন ধরে এই বিরোধীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করছিলেন বলে অভিযোগ।অধিবেশন চলবে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত।

Advertisement

সাসপেন্ড করা হয়েছে, অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের ছেলে তথা কালিয়াবরের সাংসদ গৌরব গগৈ, কেরলে ত্রিশূরের সাংসদ টিএন প্রথাপন, কেরল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা ইডুক্কির সাংসদ দেনা কুরিয়াকোসে,কর্নাটকের বিরুধনগরের সাংসদ মানিকাম টেগোর, কেরলের কাসারগড়ের সাংসদ রাজমোহন উন্নিথন এবং অমৃতসরের সাংসদ গুরমিত সিংহ আউজলা-কে।

বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শুরুর দিন থেকে বিরোধীরা দাবি তোলেন দিল্লির হিংসার ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু অধ্যক্ষ ওম বিড়লা জানিয়ে দেন এখনই আলোচনা সম্ভব নয়। হোলির পর আলোচনা হতে পারে। কিন্তু তা মানতে রাজি ছিলেন না বিরোধীরা। অধিবেশন চলার সময়ই কংগ্রেস সাংসদরা লাগাতার বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ব্যাহত হয় বাজেট অধিবেশনের আলোচনা।

Advertisement

আরও পড়ুন: আকাশে জ্বালানি ভরছে বিশাল বোমারু বিমান, ভিডিয়ো ছড়িয়ে দিল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

বিরোধীদের আবেদনের পর লোকসভার অধ্যক্ষ জানান, হোলির পরের দিন ১১ মার্চ আলোচনা হবে। কিন্তু তার আগেই আলোচনার দাবিতে অনড় থাকেন বিরোধীরা, চলে দড়ি টানাটানি। ফলে বার বার মুলতবি হচ্ছিল অধিবেশন।

আরও পড়ুন: মোবাইল ফোনে চার দিন বেঁচে থাকতে পারে করোনা

সোমবারে অধিবেশন মুলতবি হয়ে যাওয়ার পর অধ্যক্ষ ওম বিড়লা একটি সর্বদল বৈঠক ডাকেন। অধিবেশন ঠিকঠাক চালানোর জন্য কিছু প্রস্তাব রাখা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার অধিবেশনে বিরোধী ও ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যদের মধ্যে ফের বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। সেদিনই অধ্যক্ষ সতর্ক করে বলেন, যাঁরা এবার অধিবেশনের কাজে বাধা দেবেন তাঁদের সাসপেন্ড করা হবে। সেই সতর্কতায় যে বিশেষ কাজ হয়নি পরের দিনই তা বোঝা যায়। একই পরিস্থিতি বার বার তৈরি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের ওই সাত সাংসদকে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ।

অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তেরনিন্দা করেছেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এটাকি স্বৈরতন্ত্র চলছে?” মনে হচ্ছে সরকার এই অধিবেশনে দিল্লির হিংসা নিয়ে কোনও আলোচনাই চাইছে না। আর এই সাংসদদের সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত অধ্যক্ষের নয়, এটি সরকারের সিদ্ধান্ত বলেও আক্রমণ করেন অধীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন