তাঁর গোষ্ঠীই আসল, দাবি করছেন শরদ

রাজ্যসভার দুই সদস্য— বিহারের আলি আনোয়ার আনসারি এবং কেরলের এ পি বীরেন্দ্র কুমার গোড়া থেকেই নীতীশের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শরদের পাশে রয়েছেন। দলের জাতীয় পদাধিকারীদের কয়েক জনও জানিয়েছেন, বিজেপির সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁরা মানছেন না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৭ ০৪:১১
Share:

শরদ যাদব বনাম নীতীশ কুমারের লড়াইয়ে নতুন মোড়। দলের অধিকাংশ সাংসদ-বিধায়ক নীতীশের হাত ধরে বিজেপির পিছনে দাঁড়ালেও ১৪টি রাজ্য শাখার সভাপতির সমর্থনের চিঠি সম্বল করে শরদ যাদবের গোষ্ঠীই ‘আসল’ জেডি(ইউ) বলে দাবি জানাতে চলেছে।

Advertisement

সম্প্রতি শরদকে দলের রাজ্যসভার নেতার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। সাফ বলে দিয়েছেন, বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না-পারলে শরদ নিজের রাস্তা দেখুন। শুক্রবার দিল্লিতে নীতীশের এই মন্তব্যের পরেই জেডি(ইউ)-এ ভাঙন শুধু সময়ের অপেক্ষা। শরদ যে সত্যিই নিজের রাস্তা দেখছেন, রবিবার পরিষ্কারই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর অনুগত নেতা অরুণ শ্রীবাস্তব।

অরুণ জানিয়েছেন— নীতীশ নন, শরদ যাদবই প্রথম থেকে সর্বভারতীয় জেডি(ইউ)-র নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নীতীশ ছিলেন বিহারের আঞ্চলিক দল সমতা পার্টির মাথায়। জাতীয় দলের পরিচিতি পেতে অনেক পরে সমতা পার্টিকে জেডি(ইউ)-এর সঙ্গে মিশিয়ে দেন নীতীশ। অরুণের দাবি— দলে সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিহারে নতুন সরকার গড়েছেন বলে নীতীশ যে কথা বলছেন, তা ভিত্তিহীন। কারণ অন্য রাজ্যের জেডি(ইউ) নেতাদের সঙ্গে কোনও কথা তিনি বলেননি। ১৪টি রাজ্যের জেডি(ইউ) নেতৃত্ব এখন নীতীশের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শরদকেই সমর্থন জানাচ্ছেন। তাঁদের সমর্থনের চিঠি শরদের হাতে রয়েছে। কাজেই নীতীশ নন, তাঁর গোষ্ঠীই আসল এবং জাতীয় জেডি(ইউ)।

Advertisement

রাজ্যসভার দুই সদস্য— বিহারের আলি আনোয়ার আনসারি এবং কেরলের এ পি বীরেন্দ্র কুমার গোড়া থেকেই নীতীশের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শরদের পাশে রয়েছেন। দলের জাতীয় পদাধিকারীদের কয়েক জনও জানিয়েছেন, বিজেপির সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁরা মানছেন না। শরদ অনুগতদের দাবি, বিহারে দলের একাংশও যে নীতীশের সিদ্ধান্ত মানছেন না, পটনা সফরে যাওয়া শরদকে তাঁরা তা জানিয়েছেন। প্রয়োজনে বিহারে দলের পাল্টা শাখা গড়ার চিন্তাও তাই শরদ অনুগামীদের রয়েছে। এ বিষয়ে লালু প্রসাদও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন বলে তাঁদের আশা। কিন্তু দলের সাংসদ-বিধায়কদের অধিকাংশই নীতীশের পাশে। কিন্তু এঁরা আবার দু-এক জন ছাড়া সকলেই বিহারের। কার্যত এঁদের জোরেই নীতীশ দলে নিজের কর্তৃত্বের দাবি জানাচ্ছেন। সুতরাং শরদ গোষ্ঠী ‘আসল’ জেডি(ইউ) বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়লে নীতীশও ছেড়ে দেবেন না।

ভাঙাগড়া নিয়েই চলেছে জনতা দল। এখন জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর উত্তরাধিকার কার হাতে থাকে— প্রথম থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসা শরদ যাদব, না সমতা পার্টি থেকে আসা নীতীশ কুমার, সেটাই এখন দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন