সত্ ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই কি খুন হতে হল শিনাকে? না কি এর পিছনে আছে অন্য কোনও রহস্য? পুলিশ এবং তদন্তকারীদের প্রাথমিক মত, এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। এবং সেই কারণ হল টাকা। আর সেই সূত্রেই আপাতত রহস্যের কিনারা করতে চাইছে পুলিশ।
২০০২ সালে স্টার ইন্ডিয়া-র প্রাক্তন সিইও পিটার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা ইন্দ্রাণীর। কিছু দিনের মধ্যেই বিয়ে। এর কয়েক বছর পর স্টার ছেড়ে আইএনএক্স মিডিয়া গ্রুপ তৈরি করেন মুখোপাধ্যায় দম্পতি। কিন্তু আর্থিক তছরুপের অভিযোগে বছর দু’য়েকের মধ্যে সংস্থা ছাড়তে হল তাঁদের। সিঙ্গাপুরের যে সংস্থার সঙ্গে পার্টনারশিপে চ্যানেল তৈরি করেছিলেন পিটার-ইন্দ্রাণী, সেই সংস্থার তদন্তে উঠে আসে আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি। আর এই অর্থকেই অনর্থের মূল বলছেন তদন্তকারীরা।
দিদির খুনের দিন মুম্বইতেই ছিলেন মিখাইল!
ইন্দ্রাণীকে এক জন অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং সুবিধাবাদী বলে ব্যাখ্যা করেছেন পিটার-ইন্দ্রাণীর একসময়ের সহকর্মী রবিনা রাজ কোহলি। স্টার নিউজের তদানীন্তন প্রধানের মতে, “নিজের সুবিধার জন্য যে কোনও কাজ করতে পারতেন ইন্দ্রাণী। অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ভয়ঙ্কর উচ্চাকাঙ্খী ছিলেন তিনি। সম্ভবত এমন কিছু তিনি করে ফেলেছিলেন যা সামলানো তাঁর সাধ্যের বাইরে ছিল। আর সেটা ঢাকতেই এই খুন।”
বস্তুত শিনা খুনে এখন সেই অর্থকেই পাখির চোখ করে রহস্যের সমাধান করতে চাইছে পুলিশ। সূত্রের খবর, তছরুপের সেই অর্থের একটি বড় অংশ শিনার নামে রাখা হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, আরও এক জনের নামে রাখা হয়েছিল টাকা। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে সেই দ্বিতীয় ব্যক্তি সম্পর্কে আর কিছু জানাতে চায়নি পুলিশ। সেই টাকা ফেরত দিতে সম্ভবত অস্বীকার করছিলেন শিনা। আর সেই কারণেই সম্ভবত খুন।