National news

তিস্তার জল চাই, মুখে না বলে এটাই কি বোঝালেন হাসিনা?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৮ ১৫:৪২
Share:

শান্তিনিকেতনে মমতা এবং হাসিনা।

সরাসরি কিছু বললেন না ঠিকই। কিন্তু, শুক্রবার শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঠারেঠোরে সেই তিস্তাজলবন্টন ইস্যুকেই তুলে ধরলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের উপর চাপ বাড়িয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যারই সমাধান করা যায়।’’

Advertisement

হাসিনা যখন এ কথা বলছেন, সেই সময় মঞ্চে হাজির ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল শনিবার মমতার সঙ্গে হাসিনার বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে কি মমতাকে বিশেষ বার্তা দিতে চাইলেন হাসিনা? জল্পনা তুঙ্গে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে ছিটমহল প্রসঙ্গ টেনে আনেন হাসিনা। তাঁর কথায়, ‘‘বিভিন্ন দেশ তাদের ছিটমহল নিয়ে যুদ্ধ করেছে। কিন্তু ভারত আর বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় করেছে আনন্দের সঙ্গে।’’

ছিটমহল ইস্যুতে সাফল্য এলেও কিছু বিষয়ে যে সমস্যা রয়েছে, তা জানাতে ভোলেননি হাসিনা। তিনি বলেন, ‘‘এখনও কিছু বাকি রয়েছে, যা বলে আমি পরিবেশ নষ্ট করতে চাই না।’’ বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, হাসিনার নিশানায় তিস্তার জল। বস্তুত তিস্তার জলবন্টনে মমতা এখনও গররাজি। তাঁর আশঙ্কা, তিস্তার জল ভাগাভাগি হলে রাজ্যের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

Advertisement

আরও পড়ুন : শান্তিনিকেতনের মঞ্চ মেলালো মোদী-হাসিনা-কেশরী-মমতাকে

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী কে জানিস না! সপাটে চড়, গালি

যদিও হাসিনা যে সমস্ত কিছুর পরেও আশাবাদী, সে কথা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মুজিব হত্যার প্রসঙ্গে টেনে তিনি জানান, দুঃসময়ে বারংবার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত।মুজিবের হত্যার পর পরিবারের যাঁরা বেঁচে ছিলেন, তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিল ভারত।কিন্তু ‘এখনও কিছু বাকি রয়েছে’ বলে কী বোঝাতে চাইলেন হাসিনা? তা নিয়েই এখন দু’দেশে আলোচনা তুঙ্গে। সকলেই নিশ্চিত, সেটা তিস্তার জলবন্টন।হয়তো বিষয়টা আগামিকালমমতার সঙ্গে বৈঠকেউঠবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন