মহারাষ্ট্রে বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী স্থির করার এক দিন আগে প্রথম বার প্রকাশ্যে সমর্থনের ইঙ্গিত দিল শিবসেনা।
আগামিকাল রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী স্থির করার জন্য মুম্বই যাচ্ছেন রাজনাথ সিংহ ও জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে এখনও এগিয়ে রয়েছেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। কিন্তু বিজেপির প্রবীণ নেতা একনাথ খাড়সে আজ নিজের নাম এই দৌড়ে জিইয়ে রাখতে চেয়েছেন। নিতিন গডকড়ীর সমর্থকেরাও এখনও হাল ছাড়েননি। বিজেপির অন্দরে এই টানাপড়েনের মধ্যেই আজ শিবসেনা বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থনের কথা জানিয়ে ভোটের পরে প্রথম বার জোট সরকারের পক্ষে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। কিন্তু দলীয় মুখপত্রে ফডণবীসের চেয়েও নিতিন গডকড়ীর অভিজ্ঞতা অনেক বেশি বলে উল্টে বিজেপির অন্দরের বিতর্ককেই আরও উস্কে দিতে চেয়েছে শিবসেনা।
জগৎপ্রকাশ নাড্ডা বলেন, “আগামিকাল মুম্বই গিয়ে বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী স্থির হবে। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন নিতিন গডকড়ীও।” আগামিকাল সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করার জন্য দিল্লিতে সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকও ডাকা হয়েছে। এই সপ্তাহের শেষেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেবেন মহারাষ্ট্রে। তার মধ্যে শিবসেনা যদি বিজেপির শর্তমাফিক দফতর মেনে নিতে রাজি হয়, তা হলে জোট সরকার গড়া হবে। তা না হলে, শুধু বিজেপির মন্ত্রীরাই শপথ নেবেন। বিজেপি সূত্রের মতে, শিবসেনার উপরে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চাপ বজায় রাখা হবে। যাতে তাদের কাছে বিজেপির শর্ত মানা ছাড়া আর কোনও গতি না থাকে। তার পরেও শিবসেনা বিজেপির শর্তে রাজি হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত উদ্ধব ঠাকরেকেই নিতে হবে।
শিবসেনা সূত্র দাবি করছে, উদ্ধব ঠাকরে সরাসরি কথা বলছেন মোদী ও অমিত শাহের সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়নি বটে, কিন্তু টেলিফোনে যোগাযোগ রয়েছে। সে কারণেই উদ্ধব মোদীর ডাকা এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে দলের সব নেতাকে যেতে বলেছিলেন।
ক’দিন আগে পর্যন্তও যে শিবসেনা মুখপত্রে মোদীর কড়া সমালোচনা করা হয়েছে, আজ সেখানে সুর অনেক নরম করে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। শিবসেনা নেতা অনিল দেশাই বলেন, “আমাদের সঙ্গে বিজেপি-র আলোচনা চলছে। আশা করছি, দু’একদিনের মধ্যেই জোটের বিষয়টি পাকা হয়ে যাবে।” ভোটের আগে দুই দলের জোট ভাঙলেও মুম্বই পুরসভা এখনও পর্যন্ত বিজেপি-শিবসেনা এক সঙ্গে মিলে চালাচ্ছে। আরও কয়েকটি পুরসভা ও পঞ্চায়েতেও জোট বহাল রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে উদ্ধব বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে দিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। এখন দেখার, শেষ পর্যন্ত বিজেপির শর্তে তিনি রাজি হন কি না।