এমএনএসের বিরাগভাজন হয়েছেন আগেই। এ বার সুর চড়াল শিবসেনাও। পাক শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোয় সলমন খানকে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার ‘পরামর্শ’ দিল প্রয়াত বাল ঠাকরের দল শিবসেনা।
গত পরশু পাকিস্তানি শিল্পীদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় প্রযোজকদের সংস্থা ইম্পা। উরিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং সম্প্রতি পাক মাটিতে গিয়ে জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাডে ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্টাইকের প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে সংস্থা। আর সেই সিদ্ধান্তেরই সরাসরি বিরোধিতা করেন সলমন। কাল দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানি শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ আর শিল্প এক নয়। পাক শিল্পীরা তো জঙ্গি নন।’’
এই বক্তব্যের পরেই তুমুল সমলোচনার মুখে পড়তে হয়েছে সলমনকে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একের পর এক মন্তব্য এসেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় আজ মুখ খুলেছে শিবসেনা। দলের তরফে মনীষা কায়ান্ডে বলেন, ‘‘সলমনের উচিত শিক্ষা হওয়া প্রয়োজন। পাক শিল্পীদের প্রতি যদি ওঁর এতই ভালবাসা থাকে, তা হলে ওঁরও ওখানে চলে যাওয়া উচিত।’’
একই ভাবে এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে সলমনকে। এমনিতে রাজ-সলমন সম্পর্ক খুবই ভাল। সলমনের বাড়ির গণপতি উৎসবে রাজ প্রতিবারই অতিথি হিসেবে যান। কিন্তু পাক শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোয় সলমনকে প্রবল আক্রমণ করতে শুরু করেছেন তিনি। আজও বলেছেন, ‘‘পাক শিল্পীরা তো উরি হামলার সমালোচনা করেননি। তা হলে ওঁদের পাশে আমরা দাঁড়াচ্ছি কোন মুখে?’’
ইম্পার নয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে টুইটারে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর অবশ্য বক্তব্য, তৈরি হয়ে যাওয়া যে সব ছবিতে পাক শিল্পীরা আছেন, সেগুলি নিষিদ্ধ করাটা উচিত হবে না। তবে নতুন করে পাক শিল্পীদের ছবি দেওয়া নিয়ে আপত্তি আছে বাবুলের। সলমনের সমালোচনা করতে ছাড়েননি বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সলমনের নাম না করে তিনি বলেছেন, ‘‘জাতীয় ভাবাবেগের কেউ বিরোধিতা করলে এ দেশে তাঁর পেট চালানো মুশকিল হবে।’’
কাশ্মীর বিতর্ক নিয়ে আজ আবার মুখ খুলেছেন মণিপুরের মানবাধিকার কর্মী ইরম শর্মিলা চানু। যুদ্ধ নয়, শান্তির বার্তা দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সীমান্তের ধারে সাধারণ হিন্দু-মুসলিম পরিবারের বাস। তাঁরা কেউই বোধ হয় যুদ্ধ চান না। দু’দেশের মধ্যে শুধু তিক্ততাই বাড়বে এতে।’’