ইঙ্গিতটা দিন কয়েক আগেই দিয়ে রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অরুণ জেটলি। জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই বড় একটা বদল আসতে চলেছে সেন্সর বোর্ডে। সেই মতোই কেন্দ্রের আওতাধীন এই সংস্থাটিকে ঢেলে সাজার প্রক্রিয়া শুরু করা হল।
গত কয়েক মাস ধরেই নানা বিতর্কের কেন্দ্রে ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেট’ সংক্ষেপে সেন্সর বোর্ড। বিশেষত বোর্ড প্রধান পহেলাজ নিহালনির অনেক সিদ্ধান্তেই ক্ষুব্ধ দেশের ফিল্ম জগতের একটা বড় অংশ।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের কানেও সম্প্রতি এই ধরনের কিছু ক্ষোভের খবর গিয়েছিল। জেমস বন্ডের সাম্প্রতিক ছবি ‘স্পেকটার’-এ একটা চুম্বন দৃশ্য কাটছাঁট হওয়ার পরও প্রচুর হই চই হয়। তার পরই বদলের ইঙ্গিত দেন জেটলি। আজ এই সংক্রান্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। দায়িত্বে প্রবীণ পরিচালক শ্যাম বেনেগালকে।
শ্যাম ছাড়াও কমিটিতে থাকছেন পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা, বিজ্ঞাপন জগতের নামকরা ব্যক্তিত্ব পীযূষ পাণ্ডে এবং ফিল্ম সমালোচক ভাবনা সোমায়া। নাম রয়েছে ‘ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিনা লাথ গুপ্ত এবং ‘ফিল্ম ডিভিশন’-এর যুগ্ম সচিব সঞ্জয় মূর্তিরও। আগামী দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা এই কমিটির। এর মূল কাজ হবে স্ক্রিনিং কমিটির প্রধান ও অন্য সদস্যদের ঠিক পথে চালনা করা ও নির্দেশিকা দেওয়া।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে আজ স্বাগত জানিয়েছে বলিউডের একাংশ। প্রাক্তন বোর্ড প্রধান অনুপম খের বলেছেন, ‘‘এ রকম একটা বদলের খুব দরকার ছিল।
আর শ্যামের চেয়ে যোগ্য কোনও ব্যক্তি এই প্যানেলের মাথায় বসতেই পারেন না।’’
তবে কি বিতর্ক এ বার পিছু ছাড়বে সেন্সর বোর্ডের? শ্যাম অবশ্য তেমন মনে করছেন না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘‘সেন্সরশিপ এমন একটা বিষয় যা নিয়ে বিতর্ক অতীতেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। তখন হয়তো আলাদা কোনও কমিটি তৈরি করে সেটা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।’’